ময়মনসিংহের যোগাযোগ ব্যবস্থা

ময়মনসিংহের যোগাযোগ ব্যবস্থার মধ্যে রেলপথ ও সড়ক পথই প্রধান। জেলার অভ্যন্তরে যাতায়াতের  জন্য নৌপথেও সামান্য কিছু যোগাযোগ ব্যবস্থার আয়োজন আছে, তবে সে সব যোগাযোগ শুধুমাত্র  বর্ষাকালেই কার্যকর থাকে, বছরের অন্য সময়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণই সড়ক ও রেলপথ নির্ভর হয়ে  পড়ে। নদীগুলোর নাব্যতা হ্রাসের কারণে বর্তমানে নৌপথের ব্যবহার হতাশাব্যঞ্জকভাবে কমে গেছে। তবে বর্ষায় এখনো ধান-পাট নৌপথে পরিবহন করা হয়ে থাকে। ময়মনসিংহের কাচারী খেয়া ঘাট, থানার ঘাট  থেকে নৌপথে বাইগনবাড়ি, বিদ্যাগঞ্জ, বালির বাজার, বালিপাড়ায় প্রভৃতি স্থানে যাতায়fত করা যায়।  রেলপথ ও সড়ক পথের বর্ণনা নিচে দেয়া হলোঃ

রেলপথ
ময়মনসিংহের সাথে বিভিন্ন রুটের রেল চলাচলের কার্যক্রম চালু আছে দীর্ঘদিন। দেশের যে সব স্থানে  রেলপথে যাতায়fত করা যায় সে গুলো হলোঃ

▫ ময়মনসিংহ থেকে গফরগাঁও-টঙ্গী হয়ে কমলাপুর-ঢাকা।
▫ ময়মনসিংহ থেকে গৌরীপুর-ভৈরব হয়ে চট্টগ্রাম।
▫ ময়মনসিংহ থেকে গৌরীপুর-ভৈরব-আখাউড়া হয়ে সিলেট যেতে ভৈরব অথবা আখাউড়াতে ট্রেন বদল  করতে হয়।
▫ ময়মনসিংহ থেকে গৌরীপুর-শ্যামগঞ্জ-নেত্রকোনা হয়ে মোহনগঞ্জ।
▫ ময়মনসিংহ থেকে গৌরীপুর-শ্যামগঞ্জ হয়ে জারিয়া ঝাঞ্জাইল।
▫ ময়মনসিংহ থেকে জামালপুর হয়ে দেওয়ানগঞ্জ হয়ে বাহাদুরাবাদ ঘাট।
▫ ময়মনসিংহ থেকে জামালপুর হয়ে দেওয়ানগঞ্জ পর্যন্ত।

সড়ক পথ

ময়মনসিংহ সড়ক বিভাগের আওতাধীন মোট সড়ক পথের দৈর্ঘ্য ৫৪৪ কিলোমিটার। সড়ক পথে ময়মনসিংহ সদর থেকে দেশের সকল জেলায় যাতায়তের সুব্যবস্থা আছে। ময়মনসিংহ শহর থেকে রাজধানী ঢাকার দুরত্ব ১২১ কিলোমিটার। ঢাকা থেকে সড়ক পথে ময়মনসিংহে আসতে মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে বিভিন্ন পরিবহন সংস্থার মেইল ও লোকাল গাড়িতে ২ ঘন্টা ৩০ মিনিট থেকে ৩ ঘন্টা ৩০ মিনিটে ময়মনসিংহে পৌঁছা যায়। মহাখালী ছাড়াও কমলাপুর, বিআরটিসি টার্মিনাল থেকে ঢাকা-নেত্রকোনা রুটের গাড়িতেও ময়মনসিংহে আসা যেতে পারে। ময়মনসিংহ থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম-রাজশাহী-খুলনা-পঞ্চঘর-বগুড়া-রংপুর-সিলেট-জামালপুর-শেরপুর-নেত্রকোনা-কিশোরগঞ্জ-হালুয়াঘাট-গফরগাঁও-ধোবাউড়াসহ বিভিন্ন অঞ্চলে সড়ক পথে যাবার ব্যবস্থা আছে। ময়মনসিংহ জেলা মটর মালিক সমিতির ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত বিভিন্ন রুটের সময়সূচী ও চলাচল উপস্থাপন করা হলোঃ