ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ্
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক ঈদগাহের ইতিহাস সম্পর্কে অনেক জনশ্রুতি প্রচলিত রয়েছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, ১৮২৮ সালে এ মাঠের গোড়াপত্তন হয়। ওই বছরই স্থানীয় সাহেব বাড়ির উর্দ্ধতন পুরুষসৈয়দ আহমদ (র:) তার তালুক সম্পত্তিতে তারই ইমামতিতে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। পরে স্থানীয় হয়বতনগর দেওয়ান বাড়ির অন্যতম দেওয়ান মান্নান দাদ খানের বদান্যতায় এ মাঠের কলেবর বৃদ্ধি পায় এবং এর পরিধি বিস্তৃতি লাভ করে। দেওয়ান মান্নান দাদ খান ছিলেন বীর ঈসাখাঁর অধঃস্থন বংশধর। গোড়াপত্তনের পর বিভিন্নভাবে এবং বিভিন্ন কারণে এ মাঠের প্রতি মানুষের আকর্ষণ বাড়তে থাকে এবং ক্রমান্বয়ে এ মাঠের প্রসার ও প্রসিদ্ধি ঘটে এবং দেশ ও দেশের বাইরে এর সুনাম ছড়িয়ে পড়ে।
এ মাঠের নামকরণের বিষয়ে জনশ্রুতি হচ্ছে যে, বহুকাল আগে একবার এ মাঠে ঈদের জামাতে জামাতির সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ১ লাখ ২৫ হাজার অর্থাৎ সোয়া লাখ। এই সোয়া লাখ থেকেই উচ্চারণ বিবর্তনে বর্তমান শোলাকিয়ার নামকরণ হয়েছে। অপর একটি ধারণা হচেছ, মোগল আমলে এখানে পরগনার রাজস্ব আদায়ের একটি অফিস ছিল। সেই অফিসের অধীন পরগণার রাজস্বের পরিমাণ ছিল সোয়া লাখ টাকা। জনশ্রুতি হচ্ছে, এটাও ‘‘শোলাকিয়া’’ নামকরণের উৎস হতে পারে। জানা গেছে, ঐতিহ্যবাহি এ মাঠে খ্যতিসম্পন্ন আলেমগণ ইমামতি করেছেন। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী প্রথম বড় জামাতের পর আরো যাঁরা ইমামতি করেছেন তাঁরা হলেন হযরত মাওলানা হাফেজ মুহম্মদ হযরত উল্লাহ, হযরত মাওলানা পেশওয়ারী, হযরত মাওলানা মুসলেহ উদ্দিন, আলহাজ্ব মাওলানা হামিদুল হক, হযরত মাওলানা মাজহারম্নল হক, হযরত মাওলানা আবদুল গনি, হযরত মাওলানা আতহার আলী, হযরত মাওলানা আবদুল মান্নান, হযরত মাওলানা আবুল খায়ের মুহাম্মদ নূরুল্লাহ, মাওলানা আবুল খায়ের মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ ও মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ।
তথ্য সূ্ত্রঃ
আইসিটি সেল, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, কিশোরগঞ্জ