বিএনপির পক্ষ থেকে নতুন নির্বাচন কমিশনাদের দোষত্রুটি খোজে বের করার চেষ্টা হচ্ছে, রাতেই প্রতিক্রিয়া
নিউজ ডেস্কঃবিডি খবর ৩৬৫ ডটকম
বিএনপি এবং ২০ দলীয় জোটের শরিকরা নবগঠিত নির্বাচন কমিশনের সদস্যদের অতীত দোষ-ত্রুটি খোজে বের করার জন্য আপ্রান চেষ্টা করছে। তাদের তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে একটা প্রতিক্রিয়া জানানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে ২০ দলীয় জোট।
ইতিমধ্যেই তারা নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে জনতার মঞ্চের লোক বলে প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। গতকাল অনুষ্টিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই ছিদ্রান্বেষনের দিকটি স্থায়ী কমিটির সদস্যদের আলোচনায়ও এসেছে। আওয়ামীলীগ কিংবা সরকারের সাথে তাদের কার কি ন্যুনতম সম্পর্ক আছে তা নিয়ে ২০ দলীয় জোটে চুলছেড়া বিশ্লেষন চলছে। যদিও এখন পর্যন্ত তারা বড় ধরনের কোন তথ্য সংগ্রহ করতে পারেননি যা দিয়ে তীব্র সমালোচনা করবেন।
তবে এখন পর্যন্ত তারা প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য কমিশনারদের মেনে নিয়েছেন বলেই মনে হচ্ছে। শুধু বিরোধীতার কারনে বিরোধীতা এটুকু আনুষ্টানিকতাই বাকী আছে। আর হয়ত তারা সরকারকে চাপে রাখার কিছু কৌশল খোজছে। এদিকে সরকারী দলও কৌশলে সামনেরদিকে এগুচ্ছে। রাষ্ট্রপতির সাথে সকল দলের সফল আলোচনা, রাষ্ট্রপতির সার্চ কমিটি গঠন, সার্চ কমিটির সাথে সুশিল সমাজের আলোচনার ব্যবস্থা ও সফল আলোচনা, তাদের সুপারিশ আমলে নেওয়া সব কিছুতেই পরিছন্নতার সাফ রয়েছে।
আবার সার্চ কমিটি রাষ্ট্রপতির সাথে যে সমস্ত রাজনৈ্তিক দল আলোচনা করেছিল তাদের সকলের কাছে পাচঁটি করে নাম চাইলে পরে বিএনপিসহ অধিকাংশ দল সারাদিয়ে নাম জমা দেয়। প্রাপ্ত নাম থেকে যাচাই বাছাই করে ২০ জনের একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরী করে সার্চ কমিটি। আবার এই ২০ জনের মধ্যে থেকে তারা ১০ জনের নামের একটি তালিকা করে তা রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করে। এ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি এবং সার্চ কমিটি যথেষ্ট সফলতা দেখিয়েছে তা নিঃসন্দেহে বলা যায়।
তারপর সার্চ কমিটির দেওয়া সর্বশেষ এই ১০ জনের তালিকা থেকে রাষ্ট্রপতি তার ওপর অর্পিত ক্ষমতাবলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসাবে সাবেক সচিব কেএম নুরুল হুদাকে মনোনিত করেন। আর কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা হলেন সাবেক সচিব মো. রফিকুল ইসলাম, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব তালুকদার, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ কবিতা খানম এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী। এর মধ্যে কবিতা খানম আওয়ামীলীগের দেওয়া লিষ্টে ছিল আর মাহবুব তালুকদার বিএনপির দেওয়া লিষ্টে ছিল।
আজ রাতেই ২০ দলীয় জোটের বৈঠকের পর দেখা যাবে বিএনপিসহ ২০ দল নবগঠিত এ নির্বাচন কমিশনকে কিভাবে গ্রহন অথবা বর্জন করে।