ধর্ষণের অভিযোগে হিন্দু ধর্মগুরুর পুরুষাঙ্গ কর্তন করেছে এক ছাত্রী
অনলাইন ডেস্কঃ বিডি খবর ৩৬৫ ডটকম
শুক্রবার রাতে ভারতের কেরালা রাজ্যের এক ছাত্রী এক হিন্দু ধর্মগুরুর পুরুষাঙ্গ কেটে দিয়েছে। কথিত ওই ধর্মগুরু গত বছর ছয়েক ধরে নিয়মিত এই ছাত্রীটিকে ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়ন চালিয়েছে বলে মেয়েটি জানিয়েছে।
জানা যায়, গতরাতে ধর্মগুরু মেয়েটির বাড়িতে এসে তাকে আবারও ধর্ষণ করতে উদ্যত হলে সে একটি ছুরি দিয়ে তার পুরুষাঙ্গ কেটে দেয়। পরে সে নিজেই পুলিশের কাছে ঘটনাটি জানায়। ধর্মগুরুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্র জনিয়েছে, ওই ব্যক্তির পুরুষাঙ্গ প্রায় ৯০% কেটে গেছে। তা জোড়া দেওয়া সম্ভব হবে না। ২৩ বছর বয়সী আইনের ছাত্রী ওই মেয়েটি এবং তার পরিবার কোল্লাম জেলার যে হিন্দু আশ্রমের ভক্ত ছিল, সেখানকারই ধর্মগুরু ছিলেন গঙ্গেশানন্দ তীর্থপদ ওরফে হরিস্বামী নামের ওই ব্যক্তি।
মেয়েটির বয়স যখন ১৭ বছর তখন হরিস্বামী প্রথম তাকে ধর্ষণ করে। মেয়েটির কথা তার বাবা-মা বিশ্বাস করবেনা বিদায় বিষয়টি তাদের জানায়নি সে। ওই ধর্মগুরু ছয় বছর ধরে নিয়মিত যৌন নিপীড়ন চালাত মেয়েটির ওপর। গতরাতে হরিস্বামী আবারও মেয়েটির বাড়িতে গিয়ে নিপীড়নের চেষ্টা করলে তখনই ছুরি দিয়ে তার পুরুষাঙ্গ কেটে দেয় ওই ছাত্রী এবং পুলিশ কন্ট্রোল রুমে ফোন করে বিষয়ট পুলিশকে জানায়। মেয়েটির পরিবারই ওই ধর্ষককে থিরুভনন্তপুরমের মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায় শুক্রবার রাত প্রায় সাড়ে বারোটার সময়। ওই ধর্মগুরু বিরুদ্ধে দুটি ধারায় মামলা হয়েছে।
কয়েক বছর আগে মেয়েটির বাবা পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হন। তখন থেকে হরিস্বামী এই ছাত্রীটির মতো নিয়মিত তার মাকেও ধর্ষণ করত। তবে ছাত্রীর মাকেও পুলিশ আটক করেছে। কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ওই ছাত্রীর অসীম সাহসকে বাহবা জানিয়েছেন।