নির্বাচনের সময় যতই ঘনিয়ে আসবে জাফরুল্লাহ সাহেবদের গুজব ছড়ানোর প্রবনতা ততই বাড়বে
মতামত ডেস্কঃ বিডি খবর ৩৬৫ ডটকম
নির্বাচনের আর বেশী দিন বাকি নাই। এ মাসের শেষ কিংবা নভেম্বরের শুরুতে হয়ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করা হতে পারে। তাই এই নির্বাচনকে নিয়ে নানামুখী তৎপরতা ও অপতৎপরতা ইতিমধ্যই শুরু হয়ে গেছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে চলছে নানামুখী মেরুকরন। আর এই রাজনৈতিক মেরুকরনের মুলে রয়েছে ব্যক্তিকেন্দ্রিক কিছু দল ও জোট। আর এদের মধ্য তথাকথিত বিএনপি ঘরনার সুশীল সমাজের কিছু মানুষও আছেন।
কতিপয় পরিত্যক্ত নেতার নেতৃত্বে গড়ে উঠছে নানা নামে নানা জোট। যারা নির্বাচনে জামানত হারান তারাও অশুভ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে উঠে পড়ে লেগেছেন। সাবেক এক সামরিক সরকারের মন্ত্রী জাফরুল্লাহ চৌধুরী দেশে গনতন্ত্র ফিরিয়ে আনার কথা বলছেন। উনি কি সামরিক শাসনের গনতন্ত্রের কথা বলছেন? উনিই হয়ত এর ভাল ব্যাখ্যা দিতে পারবেন। নির্বাচনের আগে দেশকে অস্থিতিশীল করতে উনি ও উনার মত আরও কয়েকজন নেতা জোড় প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি সেদিন সময় টিভিতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বর্তমান সেনাবাহিনী প্রধান আজিজ আহম্মেদের নামে অসত্য তথ্য দিয়েছেন।
উনি যেসব তথ্য দিয়েছেন তা সকলই চরম মিথ্যা। তার এই মিথ্যা তথ্য প্রদানের জন্য আইএসপিআর থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। তিনি কেনো সেনাবাহিনীকে নিয়ে কিংবা এর প্রধানকে নিয়ে অসত্য তথ্য ছড়াতে ব্যস্ত হয়ে উঠলেন? এটা ভেবে দেখার যথেষ্ট কারন রয়েছে। জনাব জাফরুল্লাহ স্বীকার করেছেন তিনি সেনাবাহিনী প্রধান সম্পর্কে ভুল তথ্য দিয়েছেন। এই জন্য তিনি সেনা প্রধানের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
এর অর্থ হলো নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসবে এরকম ভুল তথ্য দিয়ে গুজব ছড়ানোর কাজটিও ততই বাড়তে থাকবে। তবে অপ্রিয় হলেও সত্য যে আমাদের দেশের মানুষ গুজবে কান দেয় অতি বেশী মাত্রায়। যেমন সম্প্রতি নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছে গুজব কিভাবে ছড়ায়। তবে মিথ্যা তথ্য ও গুজবের বিরুদ্ধে জনগনকে সতর্ক থাকতে হবে।