বিএনপির সর্বাঙ্গে ব্যথা, সংলাপ গিলতেও পারছে না ফেলতেও পারছেনা
নিউজ ডেস্কঃ বিডি খবর ৩৬৫ ডটকম
অত্যান্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আজ বিএনপি সংলাপে হাজির হবে ঐক্য ফ্রন্টের সাথে। ভোটের হিসাবে ঐক্য ফ্রন্টে বিএনপির ৯৫% ভোটার রয়েছে। কিন্তু এই ঐক্য ফ্রন্টের নেতৃত্ব দিচ্ছে আওয়ামীলীগ থেকে দুই যুগ আগে চলে যাওয়া ডঃ কামাল হোসেন। অথচ ভোটের হিসাবে কামাল হোসেনের গন ফোরামের ১% ভোটও নাই। এই বিষয়টি নিয়ে তৃনমূল বিএনপিতে চাপা ক্ষোভ চলছে। ঐক্য ফ্রন্টের ৭ দফা নিয়ে জোটের ভিতরে নানা গুঞ্জন চলছে।
কামাল হোসেনের লক্ষ্যে সুষ্ঠ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরী করে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আদায়। অপরদিকে বিএনপির মূল লক্ষ্যে হচ্ছে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সরকারের পদত্যগ। এই নিয়ে ঐক্য ফ্রন্টে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। কামাল হোসেন এক জনসভায় বলে দিয়েছেন, দলের স্বার্থের থেকে দেশের স্বার্থ এখন বড়। বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপির মত একটা বড় দলের কামাল হোসেনে বিলীন ঠিক হয়নি। বিএনপি জেনে শুনেই এই বিষ পান করেছে। এই বিষয়গুলিকে বিএনপির তৃনমূলের নেতাকর্মীরা ভালভাবে নিচ্ছে না।
জিয়া অরফানেজ ট্রাষ্ট মামলার রায়ে বেগম খালেদা জিয়ার ১০ বছর সাজা হয়েছে। তারেক রহমানেরও ১০ বছর সাজা হয়েছে। চলতি বছরের ২৮শে ফেব্রুয়ারী জিয়া অরফানেজ ট্রাষ্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষনার কয়েক দিন আগে খালেদা জিয়া বিধিবহির্ভূতভাবে দলীয় গঠনতন্ত্র সংশোধন করে কারাদন্ডপ্রাপ্তদেরও দলীয় উচ্চ পদে রাখার বিধান করে গেছেন। কিন্তু আইনের দৃষ্টিতে এটি অবৈধ।
১০ই অক্টোবর ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় হয়। রায়ে খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রমানের যাবজ্জীবন কারাদন্ড হয়েছে। তারেক রহমান এখন লন্ডনে আইনের দৃষ্টিতে পলাতক রয়েছেন। অপরদিকে ২৯শে অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাষ্ট মামলার রায়ে খালেদা জিয়ার ৭ বছরের সাজা হয়েছে।
এরই মাঝে গতকাল জৈনিক মোজাম্মেল হোসেনের হাইকোর্টে রিট আবেদনের পরিপেক্ষিত হাইকোর্ট নির্বাচন কমিশনকে বিএনপির সংশোধিত গঠনতন্ত্র গ্রহন না করতে নির্দেশ দিয়েছে। ফলে খালেদা জিয়া অথবা তারেক রহমান কেহই আর দলীয় উচ্চ পদে থাকতে পারছেন না। এটি বিএনপির জন্য খুবই একটি জটিল বিষয়। ফলে এই সমস্ত বিষয় বুকে ধারন করেই ভাঙ্গা মন নিয়ে বিএনপিকে কামাল হোসেনের নেতৃত্বে সরকারের সাথে সংলাপে অংশ গ্রহন করতে হচ্ছে। তাদের মন এতই খারাপ যে তারা আজ প্রধানমন্ত্রীর নৈশভোজেও অংশ নিবেন না বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে।