সারাদেশে এখন একটাই আলোচনা কি হতে যাচ্ছে শুক্রবার
বিডি খবর ৩৬৫ ডটকম
দেশজুড়ে সকল শ্রেনী, পেশার মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে! বিশেষ করে উপকুলীয় ও দেশের চারটি সমূদ্র বন্দরে ও এর আশেপাশে অবস্থানরত মানুষের মাঝে এই আতঙ্কের মাত্রা আরো বেশী। আর এই আতঙ্কের মাত্রা বৃদ্ধি করছে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ফনী। ৪/৫ দিন আগে দক্ষিন বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এই ঘূর্ণিঝড়টি ক্রমেই শক্তি বৃদ্ধি করে সমূদ্র উপকুলেরদিকে ধেয়ে আসছে। ঘূর্ণিঝড়টি উপকুলের ৮০০ কিলোমিটারের মধ্য ইতিমধ্যই চলে এসেছে। শুক্রবার বিকালে এটি ভারতের ওড়িষ্যা ও পুরী উপকুলে আঘাত আনার কথা রয়েছে। এর পর এটি পশ্চিমবঙ্গেরদিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমশ দুর্বল হয়ে বাংলাদেশের খুলনা, বাগেরহাট, মঙ্গলা, ভোলা ও পটুয়াখালী ও তৎসংলগ্ন এলাকায় আঘাত আনবে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকুলীয় অঞ্চলে ৪/৫ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস দেখা দিতে পারে।
তীব্র এই ঝড়ের কবলে পড়ে ভারতের ওড়িষ্যা, পুরী ও অন্ধ্রের উপকুলীয় অঞ্চলে ব্যপক জানমালের ক্ষতির আশংস্কা করছে ভারতীয় আবহাওয়াবিদরা। সেই জন্য পুরী ও ওড়িষ্যার উপকুলীয় এলাকা থেকে সকলকে নিরাপদ দুরত্বে সরে যেতে বলেছে ভারতের আবহাওয়া দপ্তর থেকে। উপকুলে আঘাত আনার পর এই ঝড় ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়বে। উপকুলে আঘাতের আগে পরে ভারি বৃষ্টিপাতও হবে।
মঙ্গলা ও পায়রা সমূদ্র বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে আবহাওয়া দপ্তর থেকে। চট্রগ্রাম বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। অপরদিকে কক্সবাজার সমূদ্র বন্দরে ৪ নম্বর বিপদ সংকেতই রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ১৬০ কিলোমিটার যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৮০ মিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশের উপকুলে আঘাত আনার সময় এই ঝড়ের গতিবেগ ঘন্টায় ৮০/৯০ কিলোমিটার হতে পারে। ইতিমধ্যই আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে সারাদেশে নৌ চলাচল বন্ধ রয়েছে সরকারী নির্দেশে। বন্দরে পন্য খালাসের কাজও ইতিমধ্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিআইডব্লিওটিএর শুক্রবার ও শনিবারের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। দেশের সব কটি সাইক্লোন সেন্টার প্রস্তুত রাখা হয়ে সম্ভাব্য আক্রান্ত মানুষের জন্য।