ফাইনালে শ্বাসরুদ্ধকর জয় দিয়ে আয়ারল্যান্ড ট্রাই-ন্যাশন্স সিরিজ শেষ করলো টাইগাররা
বিডি খবর ৩৬৫ ডটকম
বাংলাদেশ শিবিরে শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা, কি হবে খেলার ফলাফল। উইন্ডিজদের দারুন সূচনায় ২০.১ ওভারেই কোন উইকেট খরচ না করেই ১৩১ রান সংগ্রহ। কোন অবস্থাতেই উইকেটের পতন ঘটাতে পারছিল না বাংলাদেশ। এমন সময় বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উভয় শিবিরে চলে নানা জল্পনা কল্পনা। লীগ পর্বে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পয়েন্ট থাকায় বৃষ্টির কারনে খেলা পরিত্যক্ত হলে বাংলাদেশ ট্রাই-ন্যাশন্স সিরিজে চ্যম্পিয়ন হত। দীর্ঘ সময় পরেও পরিবেশ অনুকুলে না থাকায় খেলার ফলাফল নিয়ে সিদ্ধান্তে আসা যাচ্ছিল না। এক পর্যায়ে প্রায় সাড়ে ৪ ঘন্টা পরে খেলা শুরু করার ঘোষনা আসলো আয়োজকদের কাছ থেকে। ডি এল ম্যাথডে খেলা হবে ২৪ ওভার।
বৃষ্টির পর পুনরায় খেলা শুরু হলে ২৪ ওভার খেলে ১ উইকেট হারিয়ে উইন্ডিজরা ১৫২ রান করে। আর তাতে বাংলাদেশের টার্গেট ঠিক করা হয় ২৪ ওভারে ২১০ রান যা অনেকটা অসম্ভব ব্যপার হয়ে দাঁড়ায় বাংলাদেশের জন্য। বাংলাদেশ কি পারবে মাত্র ২৪ ওভারে ২১০ রান করতে? টাইগাররা ব্যাটিংয়ে নামে আত্নবিশ্বাস নিয়ে। এক পর্যায়ে সৌম্য সরকারের দৃঢ়তায় দলীয় রান দাঁড়ায় ৫৯। আর তখনই ১৩ বলে ১৮ রান করে তামিম ইকবাল আউট হন। ক্রিসে আসেন সাব্বির রহমান, ২ বল খেলে শূন্য রানে দলীয় ৬০ রানের মাথায় আউট হন সাব্বির। হতাশা নেমে আসে বাংলাদেশ শিবিরে, বাংলাদেশ কি জিততে পারবে? ৪১ বলে ৬৬ ও দলীয় ১০৯ রানের মাথায় আউট হন সৌম্য সরকার। বাংলাদেশ শিবিরে তখন হতাশার মাত্রা আরো বৃদ্ধি পেল। ক্রিসে আসেন মুশফিক। ২২ বলে ৩৬ রান করে এলবিডাব্লিও হয়ে আউট হন তিনি। দলীয় রান তখন ১৩৪/৪। আর দলীয় ১৪৩ রানের মাথায় আউট হন মোহাম্মদ মিথুন। এই পর্যায়ে হাল ধরেন মাহমুদুল্লাহ ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। সৈকতের অতি দানবীয় ব্যাটিংয়ে অবশেষে বাংলাদেশ কাংঙ্খিত জয় পায়। সৈকত ২৪ বলে ৫২ রান করে ও মাহমুদুল্লাহ ২১ বলে ১৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২১৩ আর সেই সাথে অসম্ভবকে সম্ভব করলো টাইগাররা। সারা দেশে আনন্দের বন্যায় ভেসে যায়। প্রধানমন্ত্রীসহ রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিরা অভিনন্দন জানায় বাংলাদেশ দলকে। সাবাস বাংলাদেশ, সাবাস টাইগার দল। সাবাস মাশরাফি বিন মর্তুজা। আর এই সিরিজ জয়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ দলে আত্নবিশ্বাস বেড়ে গেল। বিশ্বকাপে এক ধাপ এগিয়ে রইলো বাংলাদেশ।