‘হৃদয়ে আমার ব্রাহ্মন্দী কে কে এম গভঃ হাইস্কুল’ ফেসবুক গ্রুপের ব্যতিক্রমধর্মী সেবা
বিডি খবর ৩৬৫ ডটকমঃ
ফেসবুক নামক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন আছে। এর ভাল ও খারাপ দুটি দিকই আছে। তবে এই ফেসবুককে যে ভাল কাজে ব্যবহার করা যায় তা প্রমান করেছে ‘হৃদয়ে আমার ব্রাহ্মন্দী কে কে এম গভঃ হাইস্কুল’ নামক ফেসবুক গ্রুপটি। অত্র স্কুলের প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্রছাত্রীদের জনপ্রিয় এই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে একত্র করে নিজেদের মধ্য যোগাযোগ বৃদ্ধি, সহযোগিতা ও হারিয়ে যাওয়া প্রক্তন ছাত্রছাত্রীদের একত্রে একটি ফ্লাটফর্মে নিয়ে আসার উদেশ্যে এই গ্রুপটি গঠিত হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে গ্রুপটি হারিয়ে যাওয়া ও যোগাযোগ বিছিন্ন অনেক প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীকে গ্রুপে সংযুক্ত করে যোগাযোগ পুনঃ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে।
গ্রুপটি এখন ব্রাহ্মন্দী স্কুলের প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্রছাত্রীদের মধ্য সেতু বন্ধ তৈরী করে জীবন সংগ্রামে পিছিয়ে পড়া ও নানাহ সমস্যায় থাকা ছাত্রদেরকে সহযোগিতা করে আসছে। ইতিমধ্য এই গ্রুপটি প্রায় হারিয়ে যাওয়া ও জীবন সংগ্রামে অকালে ক্লান্ত লীল মিয়া নামক ‘৮৩’ ব্যাচের এক প্রাক্তন ছাত্রকে খোজে পায়। এই লীল মিয়া সেই সময়ে নানাহ কারনে স্কুলে অনেক জনপ্রিয় ছিল। ৩৫ বছর যাবৎ হারিয়ে যাওয়া লীল মিয়াকে নতুন করে আবিস্কার করে এই গ্রুপটি আরো জনপ্রিয়তা লাভ করে।
শুধু তা ই নই, গ্রুপটি ইতিমধ্য সদস্যদের অনুদানে বা চাদায় লীল মিয়াকে দুটি অটো রিক্সা কিনে দিলে তার জীবনে সচ্ছ্বলতা ফিরে আসে। লীল মিয়া নতুন করে জীবন সংগ্রাম শুরু করে ও বুঝতে পারে সে একা নই তার আপদে বিপদে ব্রাহ্মন্দী স্কুলের প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্রছাত্রী সকলেই আছে। ৩৫ বছর পর বন্ধুদের কাছে পেয়ে ও নতুন দুটি অটোরিক্সা পেয়ে লীল মিয়া আনন্দ ও আবেগে কেঁদে ফেলে। সম্প্রতি গ্রুপটি ব্রাহ্মন্দী স্কুলের নবম শ্রেনীর আরেক ছাত্র আরাফের চিকিৎসায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত আরাফের চিকিৎসার জন্য গ্রুপটি আরাফের বাবার হাতে এক লক্ষ ২০ হাজার টাকা প্রদান করে। আরাফ ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন আছে। অনুদান প্রদানের সময় গ্রুপটির চিফ এডমিন আল-আমিন বিপ্লবের সাথে উপস্থিত ছিলেন এডমিন মিনহাজ আহমেদ, শাহিদা খানম লিলি, মতিমল বিশ্বাস, সোহেল রানা ও মহসীন হোসাইন বিদ্যুৎ। উল্লেখ্য গ্রুপটিকে সচল ও গ্রুপের সেবা আরো বৃদ্ধি ও গতশীল করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন চিপ এডমিনসহ অন্যরা। মানব সেবার এমন উদাহরন ফেসবুক ব্যবহার করেই হয়েছে।