ভারতে কর্মীরা মাথায় হেলমেট পরে পিঁয়াজ বিক্রি করছে জনরোষ থেকে বাঁচতে

বিডি খবর ৩৬৫ ডটকমঃ

ভারতে জনরোষ থেকে বাঁচতে হেলমেট পরে পিঁয়াজ বিক্রি করছে সরকারী সংস্থার কর্মীরা। এ বছর ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে পরপর বন্যা হওয়াতে পিঁয়াজ উৎপাদন ব্যপকভাবে কম হয়। যার ফলশ্রুতিতে একপর্যায়ে ভারত পিঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। আর বাংলাদেশ বহু বছর ধরেই সিংহভাগ পিঁয়াজই আমদানী করত ভারত থেকে। ভারত হঠাৎ পিঁয়াজ রপ্তানী বন্ধ করে দেওয়ায় বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। চাহিদার তুলনায় পাইকারী বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় হুর হুর করে পিঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে বাংলাদেশে। যা শেষ পর্যন্ত আড়াই শ টাকা কেজিতে পৌছে।

অপরদিকে উৎপাদন ও চাহিদার তুলনায় কম থাকায় ভারতেও ১০০ রুপি কেজি দরে পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। যা বাংলাদেশী টাকায় ১২০ টাকার ওপরে। এই অবস্থায় ভারত সরকার দেশের বিভিন্ন রাজ্যে সররকারী সংস্থার মাধ্যমে ৩৫ রুপি কেজি দরে পিঁয়াজ বিক্রি করছে। বিহারের পাটনাতে এমনটি দেখা গেছে। কিন্তু এই বিতরন ব্যবস্থা চাহিদার তুলনায় কম হওয়ায় নানা রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে সেখানে। পিঁয়াজ কেনার ভিড় সামলাতে ব্যস্ত রোহিত কুমার নামে সরকারি কর্মী বলেন, ‘প্রশাসনের কাছে আবেদন জানানো সত্ত্বেও কোনও নিরাপত্তারক্ষীর ব্যবস্থা করা হয়নি। তাই নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা হেলমেট পরে কাজ করছি। গতকাল আরা জেলায় পিঁয়াজ বিক্রির আচমকা ক্ষেপে ওঠে স্থানীয় জনতা। তারপর বিক্রেতাদের লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ে। এর ফলে অনেকে জখম হয়েছে। কারও কারও মাথাও ফেটেছে। তারপরও কোনও নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে না আমাদের। বাধ্য হয়ে হেলমেট পরেছি।’

আর পিঁয়াজ নিয়ে বাংলাদেশ সরকারও পড়ে জনরোষে। চারদিক থেকে কঠোর সমালোচনা হতে থাকে যা এখনো অব্যহত আছে। সরকার পিঁয়াজ আমদানীর জন্য নতুন দেশ খোঁজতে থাকে। এমনকি এরই মধ্য পাকিস্তান থেকে কার্গো বিমানে করে কিছু পিঁয়াজ এনে  টিসিবির মাধ্যমে বিতরন করা হয়েছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। কিন্তু তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। ইতিমধ্য তুরস্কসহ অন্যান্য কিছু দেশ থেকে পিঁয়াজ আমদানীর জন্য এলসি খোলা হয়েছে। জাহাজে করে ঐ সমস্ত দেশ থেকে পিঁয়াজ আসতে ৪০/৫০ দিন সময় লাগে। ছোট ছোট এলসির কিছু পিঁয়াজ দেশে এসেছে এবং তা ইতিমধ্য পাইকারীভাবে বিক্রিও হয়ে গেছে। তবে ওই সমস্ত দেশ থেকে পিঁয়াজ আমদানী করলে দামও বেশী পড়ে। আবার পিঁয়াজ দ্রুত পচনশীল পন্য হওয়ায় এর ঝুকিও বেশী। সব মিলিয়ে ভারত থেকে পিঁয়াজ আমদানীতে যে সমস্ত সুবিদাগুলি পাওয়া যেতো অন্যান্য দেশ থেকে আমদানী করলে তা পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে যতদিন ভারত থেকে পিঁয়াজ আমদানী বন্ধ থাকবে ততদিন এর দাম খুব বেশী কমবে না বলেই মনে হয়।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *