যে কারনে শুক্রবার খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এড়িয়ে যান তার স্বজনরা

বিডি খবর ৩৬৫ ডটকমঃ

দুই বছরের অধিক সময় অতিক্রান্ত হল খালেদা জিয়া জেলে আছেন। তার কারাগারে যাওয়ার পর থেকে অধ্যবদি বিএনপির পক্ষ থেকে দলীয় প্রধানের মুক্তি নিয়ে জোড়ালো কোন ভুমিকা দেখা যায়নি। দল ও পরিবার খালেদা জিয়া জেলে যাবার পর থেকেই বলে আসছে খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ্য। যদিও খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত সরকারী ডাক্তাররা বলে আসছেন খালেদা জিয়া ভালই আছেন। তিনি যতটুকু অসুস্থ্য তা অনেক আগে থেকেই বহন করে আসছেন এবং বাকিটা তার বার্ধক্যজনিত কারনে। বয়োবৃদ্ধ হলে মানুষের যে সমস্ত সমস্যা হয়ে থাকে বেগম জিয়ার মধ্যেও সে সমস্ত সমস্যা বিদ্যমান।

ফাইল ফটো

কিন্তু বিএনপি ও খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে জেলে সঠিক চিকিৎসা না পেয়ে খালেদা জিয়া দিন দিন আরোও অসুস্থ্য হয়ে পড়ছেন। সরকার খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা না করে মেরে ফেলতে চাচ্ছে। এমন আরো অনেক অভিযোগ দলও পরিবারের পক্ষ থেকে করা হচ্ছে। বিএনপি মনে করেছিল খালেদা জিয়া জেলে গেলে তার মুক্তির জন্য বিএনপি সারাদেশে তীব্র গন আন্দোলন শুরু করবে। আর সরকার আন্দোলনের চাপে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে বাধ্য হবে। কিন্তু বাস্তবে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে তেমন কোন কর্মসূচীই দিতে পারেনি বিএনপি। আর জনগন তাতে অংশ গ্রহন তো অনেক দুরের কথা। তবে বিএনপির পক্ষ থেকে খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আইনী লড়াই চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। উচ্চ আদালতে খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে বারবার ব্যর্থ হচ্ছেন তারা।

সরকারের পক্ষ থেকে শুরু থেকেই বলা হচ্ছে খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়টি আদালতের ব্যপার। আদালতের মাধ্যমেই বেগম জিয়ার সাজার রায় হয়েছে। দুর্নীতির দায়ে বেগম জিয়ার সাজা হয়েছে। তাই খালেদা জিয়ার জামিন পাওয়া না পাওয়ার বিষয়টি সরকারের ওপর নির্ভর করে না। পরিবারের পক্ষ থেকে বার বার খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করে সাংবাদিকদের বলা হচ্ছে খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ্য। বিদেশে নিয়ে তার উন্নত চিকিৎসার দরকার। কিন্তু কোন ভাবেই খালেদা জিয়াকে জেল থেকে মুক্ত করতে পারছেন না তারা। এমতাবস্থায় খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যগত দিক বিবেচনা করে তার পরিবারের সদস্যরা তাকে যে কোনভাবেই মুক্ত করতে চাচ্ছেন। এমনকি তারা প্যারোলে হলেও খালেদা জিয়াকে জেল থেকে বের করতে চাচ্ছেন। আর প্যারোল হল নিজ দোষ স্বীকার করে মুক্তি চাওয়া। সরকারের পক্ষ থেকে ইতিপূর্বে বলা হয়েছে, খালেদা জিয়া প্যারোলে মুক্তি চাইলে সরকার তা বিবেচনা করবে। সরকারের পক্ষ থেকে প্যারোলে মুক্তির ইংগিত পেয়েই অন্য কোন উপায় না থাকায় তারা প্যারোলে মুক্তির চেষ্টা করছেন বলে ধারনা করা হচ্ছে। আর এই ব্যপারে আগে খালেদা জিয়ার সায় না থাকলেও শুক্রবার স্বজনদের সাথে প্যারোলে মুক্তির ব্যপারে সম্মতি দিয়েছেন বলে ধারনা করা হচ্ছে। তাই স্বজনরা শুক্রবার খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করে বের হয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের কোন প্রশ্নের উত্তর দেননি। কারন ইতিপূর্বে যতবারই স্বজনরা খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করেছেন ততবারই তারা সাংবাদিকদের বলেছেন খালেদা জিয়া প্যারোলে মুক্তি চাননি এবং চাবেনও না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *