আরটি-পিসিআর টেস্ট করাতে রাজি নন জাফরুল্লাহ
গনস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডঃ জাফরুল্লাহ চোধুরী আরটি-পিসিআর টেস্ট করাতে রাজি নন। রবিবার তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হন। তার প্রতিষ্ঠান গনস্বাস্থ্যের উদ্ভাবিত ‘জিআর কোভিড-১৯ ডট ব্লট কিট’ নামের ওই র্যাপিড টেস্টিং কিট দিয়ে তার প্রতিষ্ঠান গনস্বাস্থ্য হাসপাতালেই তিনি করোনা ভাইইরাস টেস্ট করে পজেটিভ শনাক্ত হন। তিনি তার ধানমন্ডির বাসায় আইসোলেশনে আছেন। গতকাল বাসায় থেকেই তিনি প্লাজমা থেরাপী নিয়েছেন। বাসায় থেকেই তিনি ডায়ালাইসিস করাচ্ছেন বলে তিনি নিজেই জানিয়েছেন।
মিডিয়ার এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানিয়েছেন, আরটি-পিসিআর টেস্ট করাবেন না তিনি। বিশ্বে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি হিসেবে রিভার্স ট্রান্সক্রিপশন পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন (আরটি-পিসিআর) পদ্ধতি করোনাভাইরাস সনাক্তে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বাংলাদেশও এই পদ্ধতিতেই করোনা ভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষা করে আসছে। এবং এটিই বাংলাদেশে সরকারীভাবে একমাত্র স্বীকৃত পদ্ধতি। অপরদিকে ডঃ জাফরুল্লাহর গনস্বাস্থ্যের তৈরী ‘জিআর কোভিড-১৯ ডট ব্লট কিট’ নামের ওই র্যাপিড টেস্টিং কিট এখনও সরকারের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদন পায়নি। তবে র্যাপিড কিট মূলত রক্তে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডি শনাক্ত করে। কিন্তু গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র দাবি করে আসছে তাদের তৈরী কিট অ্যান্টিজেনও শনাক্ত করতে পারে, সেজন্য নমুনা হিসেবে নিতে হয় শ্লেষ্মা বা লালা। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় দাবি করে আসছে, র্যাপিড কিট দিয়ে পরীক্ষার ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ফলস পজেটিভ কিংবা ফলস নেগেটিভ রেজাল্ট আসে। আর করোনা মহামারীর এই সময়ে এরকম ভুল ফলাফল মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে বলে এই বিষয়ের বিশেষজ্ঞরা বলে আসছেন। তারপরও সরকার এই কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা করে দেখার অনুমতি দিয়েছে।