মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেছে তার কথিত ২য় স্ত্রী ঝর্না
মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেছে তার কথিত ২য় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্না। নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে তিনি এই মামলাটি করেন। মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, সহিদুল ইসলামের সাথে তার দাম্পত্য জীবন সুখে শান্তিতেই কাটছিল। তাদের ১৭ ও ১৩ বছর বয়সের দুটি সন্তান রয়েছে। স্বামীর ঘনিষ্ট বন্ধু হিসাবে ২০০৫ সালে মামুনুল হকের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। ঝর্না আরজিতে আরও উল্লেখ করেন, তাদের বাসায় যাতায়তের সুবাদে স্বামী-স্ত্রীর মধ্য সাংসারিক ছোট খাট বিয়য়ে মতানৈক্য হলে মামুনুল সুকৌশলে তাতে ঢুকে ঝটিলতা আরও বাড়িয়ে দিতেন। এই অবস্থায় সাংসারিক টানাপোড়নের মধ্য ২০১৮ সালের ১০ই আগস্ট সহীদুলের সাথে তার বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে।
ঝর্না আরজিতে আরও উল্লেখ করেন মামুনুল তার অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে তাকে ঢাকায় আসতে প্ররোচিত করেন। ঢাকায় আনার পর মামুনুল তার অনুসারীদের বাসায় রেখে নানা ভাবে তাকে কু প্রস্তাব দিতে থাকেন। পরে মামুনুল ঝর্নাকে কলাবাগানে একটি বাসায় সাবলেট রাখেন। এই সময় মামুনুল অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে তার সাথে অনৈতিক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। কিন্তু বিয়ের কথা বললে করছি, করবো বলে সময় ক্ষেপন করেন। ঘোরাঘুরির কথা বলে মামুনুল তাকে ২০১৮ সাল থেকে বিভিন্ন রিসোর্টে নিয়ে যেয়ে ধর্ষণ করতেন। ৩রা এপ্রিলও মামুনুল তাকে নারায়ঙ্গঞ্জের রয়েল রিসোর্টে নিয়ে ধর্ষণ করেন বলে ঝর্না আরজিতে উল্লেখ করেন। রয়েল রিসোর্টের ঘটনায় জানাজানি হয়ে গেলে এক পর্যায়ে মামুনুলের সমর্থক স্থানীয় মাদ্রাসা ছাত্র শিক্ষকরা রিসোর্টে ভাংচুর চালিয়ে মামুনুল ও তাকে ছিনিয়ে নেয়। তাকে পরে নানা স্থানে আটকে রাখা হয় বলে তিনি উল্লেখ করেন। পরে তার পিতার আবেদনে মামুনুলের বোন দিলরুবার বাসা থেকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।