মনে হল কিয়ামত শুরু হয়ে গেছে
রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা মগবাজারের ওয়ারলেস রেলগেইট সংলগ্ন এলাকায় গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় আকাশ বাতাস প্রকম্পিত করে এক ভয়াবহ বিস্ফোরন ঘটে। এই বিস্ফোরনের মূল কেন্দ্র ছিল আড়ংয়ের উল্টাপাশে রাস্তার পাশেই থাকা তিন তলা একটি পুরাতন ভবনের নীচ তলায়। এই ভবনের নীচ তলায় রয়েছে শর্মা হাউজ নামের একটি ফাষ্ট ফোডের দোকান। তার পাশেই বেঙ্গল মিটের দোকান। উপরে দুতলায় রয়েছে সিংগারের সো রুম। মূলত শর্মা হাউজেই বিস্ফোরনটি ঘটেছে বলে অবস্থা দৃষ্টে মনে করা হচ্ছে। তবে কি থেকে এই বিস্ফোরন ঘটেছে তা জানতে বিভিন্ন সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে। এবং তা শীঘ্রই জানা যাবে বলে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা থেকে বলা হচ্ছে।
বিস্ফোরনে এই ভবনের নীচ তলার দেওয়াল ও পিলারগুলি ব্যপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ছাদ থেকে কয়েকটি পিলার প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বিস্ফোরনে পুরো ভবনটি ব্যপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যে কোন সময় ভবনটি সম্পূর্ণভাবে ধ্বসে পড়তে পারে। ভবনটির নীচ তলা দেখলে মনে হয় এই সময় যারা ভিতরে ছিল তারা তুলার মত উড়ে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এই ভবনের উল্টাপাশে রাস্তার অপর পাশে রয়েছে আড়ং ও বিশাল সেন্টার। বিস্ফোরন এতটাই তীব্র ছিল যে আড়ং ও বিশাল সেন্টারের বাহির দিকে লাগানো গ্লাসের সীট ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায়।
আজও ভাঙ্গা কাচের টুকরা রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। আড়ং বিল্ডিয়ের পাচ তলা পর্যন্ত কাচ ভেঙ্গে গেছে। শুধু তাই নয় বিস্ফোরন স্থল থেকে ৩০০ ফুট দূরে রাশমনো হাসপাতাল ও গ্র্যান্ড প্লাজার গ্লাসও ভেঙ্গে চূর্ণবিচূর্ণ হতে দেখা গেছে। ওয়ারলেস মোড়ের বাটার ফ্লাই সো রুমের গ্লাসও ভেঙ্গে গেছে। মূল বিস্ফোরন স্থলের পাশের সকল ভবনই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ওই এলাকাটি পুলিশ ঘিরে রেখেছে।
বিস্ফোরনের তিব্রতায় দোকানের সাটার ও কলাপসিভল গেট উড়ে এসে রাস্তায় থাকা বাসের উপর পড়লে কয়েকটি বাস ব্যপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই সময় বাসের অনেক যাত্রী আহত হয়। ব্যস্ত এলাকা হওয়ায় পাশ দিয়ে চলাচল রত অনেক পথচারী হতাহত হয়। বিস্ফোরনের আওয়াজ এতই প্রচন্ড ছিল যে আশ পাশের বিল্ডিয়ের মানুষ মনে করেছে কিয়ামত শুরু হয়ে গেছে।
ঘটনার পর ৭ জন নিহত ও বহুসংখ্যক আহত হয়ে বলে বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচার হয়েছে। আহতদের ঢাকা মেডিকেল ও শেখ হাসিনা বার্ন ইন্সটিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। তবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মনে হয়েছে হতাহতের সংখ্যা আরও কয়েক গুন বেশী হতে পারে।