শ্রীলংকার অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দুরাবস্থা দেখে বাংলাদেশে আশার আলো দেখছে পাকি পন্থিরা
সাম্প্রতিক সময়ে সার্কভুক্ত দেশ শ্রীলংকা ভয়াবহ অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে পড়েছে। দেশটিতে জ্বালানী সংকট, লাগামহীন দ্রব্যমূল্য, বিদ্যুৎ সংকটসহ আরো অনেক সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। কাগজের অভাবে সেখানে শিক্ষা কার্যক্রম ও পত্রিকা ছাপা বন্ধ রয়েছে। তেলের অভাবে সেদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যপকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এমনকি ক্ষুদ রাজধানী কলম্বোতে ১০ ঘন্টা লোড সেডিং চলছে। টাকার অভাবে দেশটি জ্বালানি তেলও ক্রয় করতে পারছে না। এমন কি দেশটি বাংলাদেশের কাছে আড়াই হাজার কোটি টাকা লোন চেয়েছে এই অবস্থা মোকাবেলার জন্য। এক বছর আগেও শ্রীলংকা বাংলাদেশে কাছ থেকে ২১শ কোটি টাকা লোন নিয়েছে। সেই লোনের টাকা এখনো পরিশোধ করতে পারেনি দেশটি। দেশটি বিপুল পরিমান বৈদেশিক ঋনে ভারাক্রান্ত। এই সমস্ত সুযোগে দেশটিতে ব্যপক হারে বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভকারীরা আগুন ধরিয়ে প্রেসিডেন্ট গোটাবায়ার আবাসিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ করেছে। এর মধ্য শ্রীংলকার বিরোধী দল আঁটসাঁট বেধে আন্দোলনে নেমে গেছে। যার ফলশ্রুতিতে মন্ত্রী সভার সকল সদস্য পদত্যগ করেছে। সংখ্যা গরিষ্টতা হারিয়েছে সরকারী দল। এখন প্রেসিডেন্ট গোটাবায়ার পদত্যগ চাচ্ছে বিরধী দল। দেশটিতে লুটতরাজও চলছে অন্যান্য বিশৃঙ্খলার সাথে। শ্রীলংকার সরকার পরিবর্তন এখন সময়ের ব্যপার মাত্র।
শ্রীলংকার প্রধান অর্থ আয়ের খাত পর্যটন শিল্প। করোনার দুই বছরে এই শিল্প থেকে আয় শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। যার ফলে দেশটি অর্থনৈতিকভাবে চাপে পরেছে। অপরদিকে করোনাকালেও বাংলাদেশ অর্থনীতির সকল চাকা সচল রেখেছে। মহামারীকালে বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে বিশ্বের বড় বড় দেশ ও সংস্থা প্রশংসা করেছে। বাংলাদেশের বৈদেশিক মূদ্রার রিজার্ভও বিপুল পরিমানে রয়েছে। শ্রীলংকার মূদ্রামান বাংলাদেশের ১টাকা সমান শ্রীলংকার ৩.৪২ রুপি। বর্তমানে অর্থনীতির সকল সূচকে দেশটি বাংলাদেশ থেকে অনেক অনেক পিছিয়ে আছে। বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ২৮০০ ডলার ছাড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশ বিশ্বের ৩১তম বড় অর্থনৈতিক দেশ। বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। তথাপিও এদেশের কিছু সরকার বিরোধী প্রচার মিডিয়া, বিরোধী দল ও ব্যক্তি শ্রীলংকার অবস্থার সাথে বাংলাদেশের অবস্থা মিলিয়ে ফেলার চেষ্টা করছেন। আশা করছেন বাংলাদেশেও শ্রীলংকার মত অবস্থা সৃষ্টি হবে, আন্দোলন হবে সরকারের বিরুদ্ধে। যার ফলশ্রুতিতে সরকারের পতন হবে। আর নিজেরা ক্ষমতায় আসবেন। যারা এমন আশা করছেন তারা সকলেই পাকিস্তান পন্থী কিংবা আওয়ামীলীগের বিরোধী।