শ্রীলংকা হঠাৎ করে বাংলাদেশীদের জন্য অন এরাইভেল ভিসা বন্ধ করে দেয়
৪/৫ বছর আগের কথা। ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় খবর আসে, শ্রীলংকা বাংলাদেশীদের জন্য সেদেশে অন এরাইভেল ভিসা বন্ধ করে দিয়েছে। কোন রকম কারন দর্শনো ছাড়াই দেশটি বাংলাদেশীদের জন্য আগের এই সুবিদা বন্ধ করে দিয়েছে। বিষয়টা নিয়ে একটু বুঝার চেষ্টা করলাম। বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার মধ্য তুলনামূলক রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক দিক নিয়ে নানা তথ্য সংগ্রহ করে দেখা গেল শুধু মাত্র শিক্ষা ছাড়া শ্রীলংকা অন্য কোন দিক থেকেই বাংলাদেশ থেকে এগিয়ে নেই। তা হলে কেন বাংলাদেশীদের জন্য অন এরাইভেল ভিসা বন্ধ করলো? আসলেই এদের দম্ভ ছাড়া আর কোন কারন খোঁজে পাওয়া যায়নি। এই ভিসা বন্ধ করে দেওয়ার মাধ্যমে দেশটি বুঝিয়ে দিল তাদের কাছে বাংলাদেশ গুরুত্বহীন।
একই সময়ে বাংলাদেশেও শ্রীলংকার নাগরিকদের জন্য অন এরাইভেল ভিসা চালু ছিল। অন এরাইভেল ভিসার কারনে শ্রীলংকার নাগরিকরাই বেশী এর সুযোগ নিতো। সে সময়ে এমনকি এখনো প্রচুর সংখ্যক শ্রীলংকার নাগরিক বাংলাদেশের গার্মেন্টস সেক্টরে চাকুরিরত আছে। বাংলাদেশ থেকে খুব কম সংখ্যক মানুষ শ্রীলংকা ভ্রমনে যায়। শ্রীলংকার সাথে বাংলাদেশের বানিজ্যও খুব বেশী হয় না। মুলত শ্রীলংকানরাই অন এরাইভেল ভিসার সুযোগে বেশী লাভবান হত।
বাংলাদেশ অন এরাইভেল ভিসা নিয়ে শ্রীলংকার সাথে আর কোন আলোচনা না করেই একই সুবিদা বন্ধ করে দিল ২/৩ দিনের মধ্যেই। ফলে বাংলাদেশে কর্মরত শ্রীলংকানরা বিপদে পড়ে গেল। ক্ষতিগ্রস্ত হল শ্রীলংকা। অপরদিকে বাংলাদেশ তাতে লাভবানই হল। সেই দাম্ভিক শ্রীলংকা কিছুদিন আগে বাংলাদেশ থেকে ২১শ কোটি টাকা ঋন নিয়েছে। তা পরিশোধ না করেই আবারও ২৫শ কোটি টাকা ঋন চাইলো। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের পরমর্শে এইবার আর শ্রীলংকাকে টাকা দেয়নি বাংলাদেশ। সেই দাম্ভিক শ্রীলংকায় আজ খাদ্যের অভাব, জ্বালানির অভাব, কাগজের অভাব, শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত। সেই দেশটি সকল দিক থেকে আজ চরম বিপর্যয়ে।