যে পরিমান রিজার্ভ আছে তাতে ৫ মাস চলবে-মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন দেশে যে পরিমান বৈদেশিক মূদ্রার রিজার্ভ আছে তাতে ৫ মাসের আমদানী ব্যয় চলবে। কিন্তু এই ৫ মাসে যে পরিমান রেমিটেন্স আসবে ও রপ্তানি থেকে যে বৈদেশিক মূদ্রা আসবে তা তিনি বলেননি। সচেতনভাবেই তা তিনি এড়িয়ে গেছেন। কারন ওনার ও ওনার দলের উদ্দেশ্য হল দেশকে অস্থিতিশীল করা। দেশে রেমিটেন্স প্রবাহ অব্যহত আছে এবং এই মহামারীকালেও দেশের রপ্তানি বেড়েই চলেছে। আমদানী, রপ্তানি এবং রেমিটেন্স প্রবাহে ভারসাম্যও আছে। গত ১২/১৩ বছরে দেশে বৈদেশিক মূদ্রার রিজার্ভ কয়েক গুন বেড়েছে। তাহলে ফখরুল সাহেবরা কি করে বলেন ৫ মাসে রিজার্ভ শেষ হয়ে যাবে।আর দেশে শ্রীলংকার মত অবস্থা হবে আর ওনারা জ্বালাও-পোড়াও চালিয়ে ক্ষমতায় যাবেন। এই স্বপ্ন ওনাদের স্বপ্ন হিসাবেই থাকবে।মহামারীকালেও বাংলাদেশের রিজার্ভ বৃদ্ধির হার অব্যহত আছে।আগামীতেও তা অব্যহত থাকবে বলে মানুষ আশা করে।
একটা উদাহরন দিয়ে বিষয়টা পরিস্কার করি। আমার কাছে ২ লক্ষ টাকা রিজার্ভ আছে। আমি একটা চাকরি করি এবং প্রতি মাসে ২৫ হাজার টাকা বেতন পাই। মাসে আমার খরচও ২৫ হাজার টাকা। আমার বেতন যতদিন অব্যহত থাকবে ততদিন আমার রিজার্ভ ২ লক্ষ টাকাই থাকবে। কিংবা মাসে যদি ২৫ হাজার টাকার একটু কম বেশী খরচ হয় তা হলে আমার রিজার্ভ কখনো ২ লক্ষের বেশী হবে আবার কখনো ২ লক্ষের একটু কম হবে। গড়ে আমার রিজার্ভ ২ লক্ষ টাকাই থাকবে। আবার যদি আমার খরচ কমে যায় রিজার্ভ বাড়বে। আমার আয় বেড়ে গেলেও রিজার্ভ বাড়বে। দেশে বর্তমানে প্রায় ৪ লক্ষ কোটি টাকার মত বৈদেশিক মূদ্রার রিজার্ভ রয়েছে। এটি নানা অবস্থার সাথে কম বেশী হতেই পারে। কিন্তু বিএনপি মহাসচিব জনগণকে ভুল তথ্য দিয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরীর চেষ্টা করছেন। ওনারা তা ১২/১৩ বছর যাবৎ করে যাচ্ছেন। কিন্তু কখনো সফল হতে পারেননি। ইনসাল্লাহ এবারও ওনারা সফল হবেন না। দেশপ্রেমিক জনতা ওনাদের ষড়যন্ত্র রুখে দিবে।বাংলাদেশের ১টাকা সমান শ্রীলংকার ৪.১১ রুপি। বাংলাদেশে শ্রীলংকার মত অবস্থা হবে না তা বুঝার জন্য এই তথ্যইে যতেষ্ঠ। আরও একটা তথ্য দিতে চাই আগাম৮/৯ মাসের মধ্য বাংলাদেশের মূদ্রার মান ভারতের মূদ্রার মানের সমান হয়ে যাবে। বর্তমানে বাংলাদেশের ১ টাকা সমান ভারতের ০.৮৯ রুপি।