স্বপ্নের পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের ও বাঙ্গালীর বহুল প্রতীক্ষিত স্বপ্নের পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে দুপুর ১২টায় এবং জাজিরা প্রান্তে দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন ঘোষনা করেন তিনি। উদ্বোধন ঘোষনার আগে দুই প্রান্তেই মোনাজাত করা হয়। মাওয়া প্রান্তে উদ্বোধন ঘোষনার পর প্রধানমন্ত্রী সেতু দিয়ে মাওয়া প্রান্তের দিকে রওনা দেন। সেতুর মাঝ খানে দাঁড়িয়ে তিনি কিছু সময় সেতু ও পদ্মার নয়নাবিরাম দৃশ্য অবলোকন করেন। এই সময় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর কিছু বিমান পদ্মা সেতুর সন্নিহিত আকাশে মনোজ্ঞ ডিসপ্লে প্রদর্শন করে। এর মধ্য জাতীয় পতাকাবাহী ৫টি হেলিকপ্টার ও মিগ-২৯ ও ছিল। এই সময় পদ্মা নদী, পদ্মা সেতু ও আকাশে এক নয়নাবিরাম দৃশ্যের অবতারনা হয়। কিছু সময় সেতুর মাঝে দাঁড়িয়ে থেকে পরে আবার জাজিরা প্রান্তের দিকে রওনা দেন। এই সময় শেখ হাসিনার সাথে মেয়ে পুতুল, সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও ছিলেন। সেতু উদ্বোধনের সময় আকাশে বর্ণিল রঙ ছিটানো হয়।
এর আগে সকাল ১০টায় মাওয়া প্রান্তে পৌছে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষন দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি পদ্মা সেতু উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জনগনকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন জনগনের শক্তিতেই আজ পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে, জনগণ পাশে ছিল বলেই পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্ভব হয়েছে। পদ্মা সেতু শুধু মাত্র একটি ইট-পাথরের সেতু নয়, এটি বাঙ্গালীর গর্ব, আত্নমর্যাদা ও সক্ষমতার প্রতীক। এই সেতু নির্মাণের ফলে বাঙ্গালীর আত্ন বিশ্বাস বেড়ে গেছে। সেখ হাসিনা বলেন জনগণ সাথে ছিল বলেই সেতু নির্মাণ সম্ভব হয়েছে, তাই জনগনকে সেলুট জানাই। তিনি বলেন এই সেতু নিয়ে যারা বিরোধীতা করেছিল তাদের বিরুদ্ধে আমার কোন অভিযোগ নাই। আমি আশা করি এই সেতু নির্মাণের ফলে তাদেরও আত্নবিশ্বাস বেড়ে যাবে। তিনি বলেন পদ্মা সেতু নিয়ে যারা আমাদেরকে অপমান করেছিল সেতু নির্মাণের মধ্য তার প্রতিশোধ নেওয়া হয়েছে।
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আগে প্রধানমন্ত্রী ১০০ টাকা মূল্য মানের নোট, স্মারক ডাক টিকেট ও খাম উম্মোচন করেন। দেশী বিদেশী প্রায় সাড়ে ৩ হাজার অতিথি উদ্বোধনী উনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।