আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হাইব্রিডরাই হবে আওয়ামীলীগের জন্য বড় সমস্যা
২০০৮ সাল থেকে আওয়ামীলীগে অনুপ্রবেশ করেছে কিছু সুবিদাভোগী। এদের অনেকেই খুদ রাজনীতিতেই নবাগত। ক্রমেই গ্রুপিং লবিং করে এরা এদের অবস্থান পাকাপুক্ত করছে। এদের দাপটে আওয়ামীলীগের ত্যগী নেতাকর্মীরা দলে কোনঠাসা হয়ে আছে। মোনাফেকি আচার আচরনের কারনে ভোটের রাজনীতিতে এরা ভালই করছে। সজজেই এরা সাধারন মানুষকে ম্যানেজ করে পক্ষে নিয়ে যেতে পারে। এদের প্রতি রয়েছে বিএনপি-জামাতের সমর্থন।
দল মনোনয়ন না দিলে এরা দলের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে স্বতন্ত্র কিংবা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে দাঁড়িয়ে যায়। এই কাজটি করতে দলের কাছে তাদের জবাবদিহি করতে হয় না। কারন এরা দলের আসল নেতাকর্মী না। পরে আর সুযোগ নাও আসতে পারে। তাই অতি দ্রুততার সাথে এগিয়ে যেতে হবে। নগদ যা পাওয়া যায় নিয়ে নিতে হবে। এরাতো অনুপ্রবেশ করেছেই দল থেকে সুবিদা নেওয়ার জন্য।
এদের অনেকে থানার দালালী করে বেশ ভালই ইনকাম করে থাকে। অনেকে চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসার সাথেও জরিত। ঠিকাদারি ব্যবসায়ও এরা এগিয়ে আছে। অর্থ দিয়ে নেতাদের ম্যানেজ করে পদ দখলেও এরা ওস্তাদ। এরা দলীয় মনোনয়ন না পেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে দাঁড়িয়ে যায়। এদের অনেকে নির্বাচনে বিজয়ীও হয়ে যায়। নৌকা ডুবাতে বিএনপি-জামাতের একচেটিয়া ভোট তারা পেয়ে যায়। আর বিএনপি-জামাত নিজ দলীয় প্রার্থীকে ভোট না দিয়ে তখন আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নৌকা ডুবিয়ে আনন্দ পায়।
আওয়ামীলীগের হাইকমান্ড এই হাইব্রিড নেতাদের নিয়ে বেশ চিন্তিত। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এরা সমস্যা সৃষ্টি করবে। তাই আগে থেকেই এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে দলীয় হাইকমান্ডে।