মজা পাইলাম না!

বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ মেগা প্রকল্প পদ্মা সেতু। এই সেতুর নির্মাণ বাধাগ্রস্ত করতে প্রকাশ্যে দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্র হয়েছে। আমাদের দেশের আমেরিকার দালালগুলো উলঙ্গ হয়ে নেমেছিল পধ্মা সেতুর বিরুদ্ধে।অনেকে বলেছিল “পদ্মাসেতু জোড়াতালি দিয়ে তৈরী করা হচ্ছে। আমি এই সেতুতে উঠবো না। আপনারাও উঠবেন না। বিপদ আছে কিন্তু।” কিন্তু সব বাধা অতিক্রম করে শেখ হাসিনার সরকার পদ্মাসেতু নির্মাণ করতে সক্ষম হয়েছে। পদ্মা সেতু চালু হয়, দেশের মানুষ তাতে অনেক খুশী হয়। কিন্তু যারা পদ্মাসেতুর বিপক্ষে ছিল তারা খুশী হতে পারেনি। তবে সেতু উদ্বোধনের পরপরই বিরোধীরাও খুশীতে নেচে উঠেছিল। সেতু উদ্বোধন কিংবা নির্মাণের কারনে না। একটা নাটবল্ট লোজ থাকার কারনে। সেই হিসাবে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিন দেশের সরকারী দল-সরকার বিরোধী দল সকলেই খুশী হয়েছিল তা বলা যায়।

কিন্তু ২৮ তারিখ দেশের আরও এক মেগাপ্রকল্প মেট্রোরেল চালু হয়েছে। তাতে সরকারি দল, সাধারন মানুষ ও সরকারের পক্ষের সকলেই খুশী হয়েছে। তবে সরকার বিরোধীরা খুশী হতে পারেনি। কারন মেট্রোরেলে নাটবল্ট লোজ পাওয়া যায়নি। পাইলে হয়ত বিরোধীরাও আনন্দে উৎসবে মেতে উঠতে পারতো। তাই মেট্রোরেল চালুর মধ্য দিয়ে দেশের সব মানুষ মজা পাইলো না – এ কথা বলাই যায়।