পেশোয়ার মসজিদে আত্নঘাতি হামলায় নিহত বেড়ে ১০০-এ বর্বরতার শেষ কোথায়?
পাকিস্তানের পেশোয়ারের পুলিশ লাইনস মসজিদে আত্নঘাতি বোমা হামলায় এ পর্যন্ত ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আহত হয়েছে আরও ২২৫ জন। সোমবার আছরের নামাজের সময় এই বর্বর বোমা হামলা চালানো হয়। মুসল্লীদের অধিকাংশই ছিল পুলিশ সদস্য। মসজিদটি পেশোয়ার শহরের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত। এই হামলার দায় স্বীকার করেছে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) বা পাকিস্তানের তালেবান পার্টি।
এই আত্নঘাতি বোমা হামলায় মসজিদটির ছাদ মুহূর্তেই ধ্বসে পড়ে। নামাজরত মুসল্লীরা উড়ে দুরে পড়ে। এই সময় হতাহতদের আত্নচিৎকারে মসজিদ এলাকা ভারি হয়ে উঠে। আশপাশের লোকজন ছুটে এসে উদ্ধার কাজ শুরু করে। হতাহতদের উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরই মধ্য ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। আহদের মধ্য অনেকের অবস্থা সংকটাপন্ন। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। এবং দায়ীদের খোঁজে বের করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন।
মসজিদে নামাজ পড়ে শুধুই মুসলমান। আবার যিনি আত্নঘাতি বোমা হামলা চালিয়েছেন তিনিও মুসলমান। যাদের নির্দেশে এই বোমা হামলা চালানো হয়েছে সেই তেহরিক-ই-তালেবান পার্টিও মুসলমানের দল। আবার দেশটিও মুসলিম অধুষিত দেশ। তাহলে মসজিদে আত্নঘাতি বোমা হামলা চালিয়ে মুসল্লীদের হত্যা করে কি অর্জন করতে চাচ্ছে বা কি মেসেজ দিতে চাচ্ছে তালেবান-স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগে। তবে যারা এই ধরনের বর্বর হামলা চালিয়ে মানুষ মারে তারা মানুষ নামের জানোয়ার হতে পারে কিন্তু মুসলমান না। এ বর্বরতা কোন মুসলমান করতে পারে না। আমারা ধিক্কার জানাই এই বর্বর হামলার।