আইরিশদের বিপক্ষে রেকর্ড রান করে জয়ে টাইগার শিবির চাঙ্গা

তিন ম্যাচ সিরিজের ১ম ওয়ানডেতে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় আয়ারল্যান্ড। দুপুর ২টায় সিলেট স্টেডিয়ামে এই ম্যাচ শুরু হয়। দলীয় ১৫ রানের মাথায় ৯ বলে ৩ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান ওপেনার তামিম ইকবাল। দলীয় ৪৯ রানের মাথায় আউট হন লিটন দাস। তিনি ৩১ বলে ২৬ রান করেন। নাজমুল হোসেন শান্ত ৩৪ বলে ২৫ রান করে দলীয় ৮১ রানের মাথায় বোল্ড হয়ে ফিরে যান প্যাভিলিয়নে।

বাংলাদেশের ৪র্থ উইকেটের পতন ঘটে দলীয় ২১৬ রানের মাথায়। এই সময় ৯১ বলে ৯৩ রানের ইনিংস খেলে দলকে সুবিদাজনক অবস্থায় নিয়ে যান বা হাতি অলরাউন্ডার ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান।দলীয় ২৯৬ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ২৬ বলে ৪৪ রানের দৃষ্টি নন্দন ইনিংস খেলে ক্যাচ আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন মুশফিকুর রহিম। অফ ফর্মে থাকা মুশফিক এই ম্যাচে প্রান ফিরে পান। মুশফিকের বিদায়ের পর আর ক্রিজে টিকে থাকতে পারলেন না তৌহিদ হৃদয়। দলীয় ২৯৭ রানের মাথায় ৮৫ বলে ব্যক্তিগত ৯২ রান করে বোল্ড হয়ে ফিরে যান তিনি। অভিষেক ম্যাচেই তিনি রেকর্ড গড়েন। বেশ বিমর্ষ হয়েই তিনি প্যাভিলিয়নে ফিরে যাচ্ছিলেন। কেননা মাত্র ৮ রানের জন্য তিনি সেঞ্চুরী থেকে বঞ্চিত।

এর পর দলীয় ৩১১ রানের মাথায় ৭ বলে ১১ রান করে ক্যাচ আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন তাসকিন আহমেদ। আর পর দলীয় ৩৩১ রানের মাথায় ১০ বলে ১৭ রান করে রান আউট হন ইয়াসির আলী রাব্বি। নাসুম আহমেদ ৭ বলে ১১ ও মুস্তাফিজুর রহমান ২ বলে ১ রান করে অপরাজিত থাকেন। আর ততক্ষনে বাংলাদেশের রান দাঁড়ায় ৮ উইকেটে ৩৩৮। আর এবাদত হোসেন ব্যাট করেননি। আইরিশদের পক্ষে গ্রাহাম হিউন একাই নেন ৪টি উইকেট।

৩৩৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ভালই এগিয়ে যাচ্চিলেন আইরিশ ২ ওপেনার। দলীয় ৬০ রানের মাথায় আইরিশদের ১ম উইকেটের পতন ঘটে। এর পর বাংলাদেশী বোলারদের তুপের মুখে দলীয় ৭৬ রানেই আরও ৪টি উইকেটের পতন হয়। পরে আর কোন ব্যাটারই আর সুবিদা করতে পারেননি। শেষমেশ ৩১.৫ ওভারে ১৫৫ রানে অল আউট হয় সফরকারী দল। বাংলাদেশের পক্ষে এবাদত হোসেন ৪টি, নাসুম আহমেদ ৩টি, তাসকিন আহমেদ ১৫ রান দিয়ে নেন ২টি ও সাকিব আল হাসান নেন ১টি উইকেট। প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ হন তৌহিদ হৃদয়।