দেশের ইতিহাসে আরও একটি মাইলফলক রচিত হল
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্ভোধনের মধ্য দিয়ে দেশের ইতিহাসে যোগাযোগ ব্যবস্থায় আরও একটি মাইলফলক রচিত হল। শনিবার দুপুর সাড়ে ৩টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বহুল প্রতীক্ষিত এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্ভোধন করেন। তিনিই প্রথম টোল প্রদান করে কাওলা থেকে ফার্মগেট আসেন এই এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে। ফার্মগেটের র্যাম্প দিয়ে নেমে তিনি চলে যান আগারগাওয়ে পুরাতন বানিজ্য মেলার মাঠে। আর এখানেই তিনি উদ্ভোধন ফলক উন্মোচন করেন। এই সময় ৭৫ এর ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ অন্যান্য সহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করা হয়। মোনাজাতে শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু ও উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব।
একই সময়ে শেখ হাসিনা পুরাতন বানিজ্যমেলা মাঠে আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত জনসভায় যোগ দেন। তিনি বলেন এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ঢাকাবাসীর জন্য আওয়ামীলীগ সরকারের উপহার। এই এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করে হজরত শাহজালাল বিমান বন্দর থেকে ফার্মগেট আসা যাবে অল্প সময়ে। এই সেতুর কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত আজ উদ্ভোধন করা হল।
কাওলা থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মোট দৈর্ঘ ৪৬.৭ কিলোমিটার। এর মধ্য ১৯.৭ কিলোমিটার মুল উড়াল সড়ক। আর ২৭ কিলোমিটার র্যাম্পের দৈর্ঘ। কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত ১১.৭ কিলোমিটার মূল উড়াল সড়ক আজ উদ্ভোধন করা হল। এর মধ্য র্যাম্প রয়েছে ১৫টি। রবিবার সকাল ৬টা থেকে যান চলাচলের জন্য সেতুর এই অংশ ও ১৩টি র্যাম্প খুলে দেওয়া হবে। তবে মটর সাইকেল ও ৩ চাকার গাড়ি এই সেতু দিয়ে চলাচল করতে পারবে না। অন্যান্য কার, মাইক্রোবাস, মিনিবাস, বাস ও বিভিন্ন ধরনের ট্রাক নির্ধারিত টোল পরিশোধ করে এই সেতু দিয়ে চলাচল করতে পারবে।