রাজনীতির রহস্য পুরুষ রুহুল কবির রিজভী
তিনি বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব। কারো কাছে নিন্দিত, কারো কাছে নন্দিত। তাকে নিয়ে যেমন আলোচনা আছে, সমালোচনাও আছে। প্রায় ১০ বছর ধরেই তিনি বিএনপির নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়েই বসবাস করছেন। তিনি কখনো হাসেন না। কাব্যে-ছন্দে তিনি অবিরাম সরকারের সমালোচনা করে আসছেন। এখন তিনি গোপন স্থান থেকে তত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপি-জামাত ও সমমনা দলগুলির ডাকা হরতাল-অবরোধের ঘোষনা পাঠ করেন লাইভে এসে। বিএনপির সিনিয়র নেতারা সব জেলে থাকায় তার ওপর এই দায়িত্ব বর্তায়। উনাকে মাঝে মাঝে ভোরে ৮/১০ জন নেতাকর্মী নিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে জটিকা মিছিল করতে দেখা যায়। ১ মিনিটের মত দৃশ্যমান থাকেন তিনি। এরই মধ্য হেমিলনের বাসিওয়ালার মত অদৃশ্য হয়ে যান। কয়েক সেকেন্ডের ভিডিও ফোটেজের কাজটাও সেরে নেন মিডিয়ায় প্রচারের জন্য। কোথা থেকে বাহির হন আবার কোথায় মিলিয়ে যান তা অজ্ঞাতই থেকে যায়।
২৮শে অক্টোবর ও তার আগে পরের সহিংসতার মামলায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির সিনিয়র নেতারা যখন জেলে রিজভী তখন গোপন স্থান থেকে বাহির হয়ে জটিকা মিছিল করেন। সরকারের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রহস্যজনক কারনে তাকে খোজে পাচ্ছে না। আসলেই কি তাকে খোজে পাওয়া যাচ্ছে না নাকি ইচ্ছে করেই তাকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না? যদি ইচ্ছে করে তাকে ধরা না হয় বুঝতে হবে সরকারের সাথে তার গোপন আতাত রয়েছে। এর আগে দেখা গেছে বিএনপির অনেক সিনিয়র নেতার সাথে তারেক জিয়া খারাপ আচরন করায় তারা বিএনপি ছেড়ে অন্য দলে চলে গেছেন। আবার কেউ কেউ নতুন দল গঠন করেছেন। এদের মধ্য রয়েছে সমসের মোবিন চৌধুরী, তৈমুর আলম খন্দকার, লেঃ জেনারেল মাহবুবুর রহমানসহ আরো অনেকে। জনাব রিজভীও কি তারেক রহমান দ্বারা সেরকম কোন নিগ্রহের শিকার হয়েছেন?