বিএনপির আশা ভঙ্গ
গত এক বছর ধরেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নানা দল ও নানা জোট বিভিন্ন রকমের কথাবার্তা বলে আসছিল। কোন কোন দল ও জোট এই সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনে যাবে না এমনটিই বলে আসছিল। এর মধ্য বিএনপি ও তার জোট সঙ্গীরা বলে আসছিল বর্তমান সরকারের পদত্যগ, সংসদ ভেঙ্গে দেওয়া ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া তারা নির্বাচনে অংশ গ্রহন করবে না। জাতীয় পার্টিও বলে আসছিল যে তারাও তত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে অংশ গ্রহন করবে না। এতে বিএনপি ধরে নিয়েছিল আসলেই জাতীয় পার্টি এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করবে না। জাতীয় পার্টির এই অবস্থানের কারনে বিএনপি নির্বাচনে না যাওয়ার পক্ষে আরও জোড়ালো অবস্থান নেয়। বিএনপি জোট মনে করেছিল জাতীয় পার্টির এই অবস্থান সরকারকে আরও বেকায়দায় ফেলবে।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ ভ্রাতা জিএম কাদের নির্বাচনসহ নানা বিষয়ে সরকারের কঠোর সমালোচনা করে আসছিলেন। আসলে এসবই ছিল লোক দেখানো রাজনীতি। জাতীয় পার্টি মনে মনে হয়ত চেয়েছিল বিএনপি যেন নির্বাচনে না আসে। আর এই সুযোগে জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ গ্রহন করে আবারও সংসদে প্রধান বিরোধী দলের ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে। ফলে জাতীয় পার্টির রাজনীতির কাছে বিএনপি ধরা খেয়ে গেল।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার পর জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ গ্রহনের তৎপরতা শুরু করে দেয়। এবং নির্বাচনে অংশ গ্রহনের সমস্ত কাজ ধাপে ধাপে এগিয়ে নিয়ে আসছে। শেষ পর্যন্ত আগামী ৭ই জানুয়ারীর নির্বাচনে জাতীয় পার্টি অংশ গ্রহন করছে বলেই মনে হচ্ছে। অপরদিকে বিএনপির নির্বাচনে অংশ গ্রহনের আর কোন সুযোগই অবশিষ্ট নাই। ফলে বিএনপি নির্বাচনের ট্রেন মিস করেছে। বিএনপি জাতীয় পার্টিকে তাদের পাশে পাবে ভেবে নিয়েছিল। অবশেষে বিএনপির আশা ভঙ্গ হল।