৭ই জানুয়ারীর নির্বাচন বানচালের আর কি কোন সম্ভাবনা আছে?
বিএনপিসহ তার জোট দীর্ঘ দিন ধরেই বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে প্রকাশ্যে ও পর্দার অন্তরালে নানা প্রচেষ্ঠা চালিয়ে আসছে। সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন এনজিওর মাধ্যমে নানা ধরনের মিথ্যা তথ্য ও গুজব ছড়িয়ে পশ্চিমাদের সমর্থন আদায় করতে পেরেছে বিএনপি ও তার মিত্ররা। পশ্চিমারাও নিজেদের স্বার্থ আদায়ে বিএনপিকে কাছে টেনে নিয়েছে। এক বছর ধরেই পশ্চিমারা শেখ হাসিনার সরকারকে বহুমূখী চাপে রেখেছিল। সম্প্রতি নিষেধাজ্ঞা নামক অস্ত্রও ব্যবহারের ভয় দেখিয়ে আসছিল। কিন্তু কোন কিছুতেই অপ্রতিরোধ্য শেখ হাসিনার সরকারকে দমানো সম্ভব হয়নি আমেরিকা তথা পশ্চিমাদের পক্ষে। মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস প্রকাশ্যেই শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতাচ্যুতের মিশনে নেমেছিল। কিন্তু পিটার হাসের সে প্রচেষ্ঠা ব্যর্থ করে দিয়েছে শেখ হাসিনা ও তার দল কিংবা মিত্ররা।
বিএনপি ও তার সমমনারা ২৮শে অক্টোবর জ্বালাও পোড়াওয়ের মাধ্যমে শেখ হাসিনার সরকারকে পদত্যগে বাধ্য করতে যে নাটক মঞ্চস্থ করতে চেয়েছিল তা ব্যর্থ হয়েছে। তারপর থেকে লাগাতার হরতাল-অবরোধ দিয়েও সরকারকে টলাতে পারেনি তারা। তাদের এই হরতাল-অবরোধে জন সাধারনের সমর্থন মিলেনি। এই সমস্ত কর্মসূচী চলাকালে প্রায় সব কিছুই স্বাভাবিক ছিল। ২৩শে ডিসেম্বর বিকাল পর্যন্ত সারাদেশে তারা ২৮১টি যানবাহন আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। একাধিক ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে। তাতে কিছু নিরাপরাদ মানুষ হতাহত হয়েছে, দেশের সম্পদ নষ্ট হয়েছে।তাদের এসমস্ত আন্দোলনে জনসমর্থন না থাকায় তা ইতিমধ্যই ব্যর্থ হয়েছে। দলীয়ভাবে বিএনপিও দলীয় নেতাকর্মীদের এইসব জনবিচ্ছিন্ন আন্দোলনে নামাতে ব্যর্থ হয়েছে। পশ্চিমারাও ইতিমধ্যে চুপ হয়ে গেছে। তাদের আর তেমন তৎপরটা চোখে পড়ছে না। তবে পর্দার আড়ালে কি করছে তা বলা মুশকিল।
এখন তারা অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। তাতেও জনগনের কোন সাড়া মিলছে না। বিএনপি হয়ত ৭ই জানুয়ারী পর্যন্ত তাদের এসমস্ত কর্মসূচী চালিয়ে যাবে। তাতেও তেমন কোন সফলতা আসবে বলে মনে হচ্ছে না। নির্বাচনের আগের দিন ও ভোট গ্রহনের দিন হয়ত তারা সহিংসতা চালাতে চাইবে। কিন্তু এমনটি স্থানীয়ভাবে সম্ভব হবে না। কেননা সেখানে প্রত্যেকে প্রত্যেককে চিনে। স্থানীয়ভাবে বিএনপি সহিংসতা চালাতে গেলে জনতার প্রতিরোধে পড়বে এবং আইনী জটিলতায় পড়ে আম-ছালা দুটিই খোয়াবে। কাজেই ভোট প্রতিরোধে ব্যর্থ হবে বিএনপি। নির্বাচন হয়ে যাবে, ৪০-৫০% ভোট পড়বে। আওয়ামীলীগ একক সংখ্যা গরিষ্টতা পেয়ে আবার সরকার গঠন করবে। তখন বিএনপির আন্দোলনও হয়ত অদৃশ্যে মিলিয়ে যাবে। আরও ৫টি বছর অন্তত অপেক্ষা করতে হবে বিএনপিকে। ততদিনে দেশ বহুদুর এগিয়ে যাবে।