সচিবালয়ে আনসার-শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ
সচিবালয়ে আনসার সদস্য ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও মারামারির ঘটনা ঘটেছে। রবিবার রাত ৯টা থেকে ৯টা ৪৫ মি পর্যন্ত এই ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও মারামারির ঘটনা ঘটে। চাকরি জাতীয় করনের দাবিসহ অন্যান্য দাবিতে সারাদেশ থেকে আসা আনসার সদস্যরা রবিবার দুপুর থেকেই প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা সচিবালয়ের সন্নিহীত এলাকায় ছড়িয়ে পরে।
সন্ধ্যার পর আনসারদের ৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সাথে আলোচনা করতে সচিবালয়ে প্রবেশ করে। শুরু হয় আলোচনা। এই আলোচনায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সাথে ছিলেন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া। আলোচনায় রেস্ট প্রথা বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু আনসার সদস্যরা তাতে আশ্বস্ত না হয়ে সচিবালয় অবরোধ অব্যহত রাখে। তারা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্ময়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহকে সচিবালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে।
সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ ফেইসবুকে শিক্ষার্থীদের রাজু ভাস্কর্যে আসার বার্তা দেয়। সেখান থেকে রাত ৯টায় সচিবালয়ের দিকে অগ্রসর হয়ে আনসারদের ধাওয়া করে শিক্ষার্থীরা। আনসার সদস্যরা সংগঠিত হয়ে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করলে পিছু হটে শিক্ষা চত্তরে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। আনসার সদস্যদের পিটুনিতে ১৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়। এই সময় সচিবালয়ে ৫ উপদেষ্টার সাথে আনসার প্রতিনিধির আলোচনা চলছিল। আলোচনা শেষে আনসার সদস্যরা সচিবালয় ত্যগ করে। পরে শিক্ষার্থীরা আবারো সংগঠিত হয়ে লাঠিসোটা দিয়ে আনসারদের ধাওয়া করে। রাত পৌনে দশটায় শিক্ষার্থীরা সচিবালয়ের দখল নেয়।
উল্লেখ্য বিভিন্ন দাবি নিয়ে বুধবার থেকে আনসার সদস্যরা আন্দোলন করে আসছিল।