সমকামিতা ও নারীর সমঅধিকার এবং ঢাকায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের অফিস স্থাপন
ঢাকায় এসেছেন জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের প্রধান ভলকার তুর্ক। এই সফরে তিনি বাংলাদেশের মানবাধিকার বিষয় নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডঃ মোহাম্মদ ইউনুস ও অন্যান্য উপদেষ্টাদের সাথে কথা বলবেন। এই সফরে তিনি সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সাথেও কথা বলবেন। তার এই সফর আরও একটি বিষয়ের জন্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। বেশ কিছুদিন ধরেই বাংলাদেশে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের অফিস স্থাপনের কথা বলে আসছে সংস্থাটি। অনেকেই হয়ত এখবরে খুশী হবেন। বাংলাদেশে এমন সংস্থার অফিস স্থাপন গৌরবের ভেবে। আরও বলে রাখি সারাবিশ্বের মাত্র ২৯টি দেশে এই সংস্থার অফিস আছে। এই সংস্থার অফিস স্থাপনের কিছু শর্ত থাকে। এর মধ্য দেশটিকে সমকামিতার অধিকার মেনে নিতে হবে। আরও একটি শর্ত আছে, তা হল নারীর সমঅধিকার মানতে হবে।
বাংলাদেশ একটি মুসলিম প্রধান দেশ হওয়ায় স্বাভাবিক কারনেই সমকামিতার অধিকার মেনে নিবে না। ইউনুস সরকার যদি আন্তর্জাতিক এই আইন মেনে নেয় তাতে এদেশের মুসলমানরা যে প্রতিক্রিয়া দেখাবে তা সামাল দেওয়া এই সরকারের পক্ষে সম্ভব হবে না। আবার ইসলামে নারীর অধিকার কি তা স্পষ্ট করে লেখা আছে। জাতিসংঘের নারীর সমঅধিকারের আইনে সই করলে তা ইসলামী আইনের সাথে সাংঘর্ষিক হবে। যেমন ইসলামী আইনে আছে পিতা মাতার সম্পদে পুরুষ-নারী ২ঃ১ অনুপাতে ভাগ পাবে। অপরদিকে জাতিসংঘ মানবাধিয়ার আইন অনুযায়ী নারী পুরুষ ১ঃ ১ অনুপাতে অর্থাৎ সমান ভাগ পাবে। জাতিসংঘের আইন মেনে নিলে এই বিষয়ে ইসলামী আইন অকার্যকর হয়ে যাবে। এই বিষয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার কি করে তা দেখার জন্য একটু অপেক্ষা করতে হবে। জাতিসংঘের শর্ত মেনে নেওয়া/ না নেওয়ার ওপরই বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের অফিস স্থাপনের বিষয়টি নির্ভর করছে। তবে ঢাকায় মানবাধিকার কমিশনের অফিস স্থাপনের জোড় চেষ্টা চলছে।