পদ্মা সেতু উদ্বোধন নিয়ে বিএনপির গাত্রদাহ প্রকাশ্যে রুপ পাচ্ছে

২৫শে জুন স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করা হবে। এই উদ্বোধনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বিএনপির গাত্রদাহ যেন প্রকাশ্যে রূপ পাচ্ছে। বিএনপি নেতাদের সাম্প্রতিককালে দেওয়া নানা বক্তব্যে তার প্রমান পাওয়া যাচ্ছে। ২ দিন আগে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আর হাসিনা পদ্মা সেতু নিয়ে উৎসবে মেতে আছেন। আবার গতকাল (১৪ই জুন) বিএনপির নয়া পল্টনের দলীয় কার্যালয়ের নীচ তলায় জিয়া পরিষদের এক সভায় তিনি বলেন, শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু নিয়ে সার্কাস করছেন।

এদিকে বিএনপি মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল (১৪ই জুন) ঠাকুরগাঁয়ে এক দলীয় কর্মসূচীতে বলেন, আমরা পদ্মা সেতু বানাতে যে টাকা খরচ হয়েছে তার হিসাব চাই। এই সেতু নির্মাণে ব্যপক দুর্নীতি হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। আবার বিএনপি নেতারা প্রকাশ্যেই বলে বেড়াচ্ছেন পদ্মা সেতু শেখ হাসিনা তার বাপের টাকা দিয়ে তৈরী করে নাই। যদিও শেখ হাসিনা কখনো দাবি করেননি যে তিনি বাপের টাকা দিয়ে পদ্মা সেতু বানিয়েছেন। বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যে পদ্মা সেতু নিয়ে তাদের গাত্রদাহেরই প্রমান মিলে। সারা জাতি আজ পদ্মা সেতু নিয়ে মেতে উঠেছে। কিন্তু বিএনপি এবং এর মিত্ররা এই সেতু নিয়ে নানা নেতিবাচক কথা বলে যাচ্ছেন। এমনটা মোটেও কাম্য নয় এবং জাতি তা প্রত্যক্ষ করছে।

পদ্মা সেতু নিয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক ৩ বারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন, ‘জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু বানানো হচ্ছে। আমি এই সেতুতে উঠবো না। আপনারাও উঠবেন না। রিস্ক আছে কিন্তু।’

দেশে এখন পদ্মা সেতুর সার্কাস চলছে: রিজভী
———ফটো সংগৃহীত———-

পদ্মা সেতু নির্মাণ শুরুর আগেই এই সেতু নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল। যার ফলে বিশ্ব ব্যাংক পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বন্ধ করে দেয়। কোন টাকা বরাদ্ধ না দিয়েই সেদিন বিশ্ব ব্যাংক এই সেতুতে দুর্নীতির অভিযোগ এনে অর্থায়ন বন্ধ করে দেয়। এই ষড়যন্ত্রের মাস্টারমাইন্ড ছিল ডঃ মোহাম্মদ ইউনুস। তিনি হিলারি ক্লিন্টনের মাধ্যমে অর্থায়ন বন্ধে প্রভাব খাটিয়েছেন। তার পিছনে ছিল সুজনের ডঃ বদিউল আলাম মজুমদার, সিডিপির ডঃ দেব প্রিয় ভট্রাচার্য, ডঃ আসিফ নজরুল, প্রথম আলোর মতিউর রহমান, টি আই বির ডঃ ইফতেখার আহমেদ প্রমুখ। আর বিএনপি-জামাত সেদিন রাজনৈতিকভাবে পদ্মা সেতুর বিরোধীতা করেছিল। আর তা এখনো অব্যহত আছে। কানাডার আদালতে প্রমান হয়েছে পদ্মা সেতুতে কোন দুর্নীতি হয় নাই। আদালতের রায়েই একথা বলা আছে। তারপরেও এদেশে পদ্মা সেতুর বিরোধীরা নানা অলিক মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন এই সেতু নিয়ে।

অন্যদিকে সেতুর উদ্বোধনের তারিখ ঘোষনার পরই সারাদেশে নানা ধরনের আগুনের ঘটনা ঘটছে। সীতাকুন্ডে বিএম কন্টেইনার টার্মিনালে আগুন, ফেরিতে আগুন, পারাবাত ট্রেনে আগুন আরও নানা ঘটনায় গোয়েন্দারা নাশকতার আলামত পাচ্ছেন। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের আগে পরে নাশকতা হতে পারে বলেও আসংস্কা করা হচ্ছে। এমনকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তিন বাহিনীকে সতর্ক থাকতে বলেছেন।