বাংলাদেশেও শ্রীলংকার মত অবস্থা হবে এই আশায় আস্ফালন করছে কিছু মানুষ
ইদানিং কিছু মানুষ রাস্তাঘাটে, চায়ের দোকানে কিংবা বাস ট্রেনে সরকারের নানামুখী সমালোচনা করছে। পদ্মা সেতু ও বিদ্যুতের লোডসেডিং নিয়েই বেশী সমালোচনা করছে তারা। পদ্মা সেতু থেকে পদ্মা সেতুর কথিত দুর্নীতি নিয়েই তারা বেশী সরব। তাদের কাছে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল কিংবা উড়াল সড়ক এই সব কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। এই সবের কথিত দুর্নীতিই তাদের কাছে বড় বিষয়। কোন রকমের তথ্য-উপাত্য ছাড়াই তারা দুর্নীতির অভিযোগ তুলে মুখ দিয়ে ফেনা বের করছে। এরা হল স্বঘোষিত দুর্নীতির গবেষক। এই সমালোচকদের একটি শ্রেনী রয়েছে। এরা হল সরকার বিরোধী শ্রেনী। আরও খোলাখুলিভাবে বললে বলতে হয় এরা হল বিএনপি-জামাতের সমর্থক কিংবা নেতাকর্মী।
একটা শ্রেনী আছে যারা দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধিতে বেজায় খুশি। কেননা তাতে সরকারের বিরুদ্ধে জনরোষ সৃষ্টি হবে। আর তাতে সরকারের পতন হবে, তার দলের ক্ষমতায় যাবার পরিবেশ তৈরী হবে। বাশটা কিন্তু তার পা…… দিয়েও যাচ্ছে। তাতে সমস্যা নাই! সরকারের পতনই হলো মূখ্য বিষয়। তারা দ্রব্যমূল্য কিংবা লোড সেডিং নিয়ে পরিকল্পিতভাবে গুজব ছড়ায়। তারা দেশে অস্থিতিশীল অবস্থা কামনা করে। তারা প্রকৃতপক্ষে দেশের শত্রু, পাকিস্তান পন্থী। করোনা ও ইউক্রেন কারনে সারা বিশ্বেই দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি অব্যহত আছে। সারা বিশ্বের সকল দেশেই মূল্যস্ফীতি অনেক বেড়ে গেছে। তারা সরকারের সমালোচনার সময় এই বাস্তবতা মুখেও আনে না। নিজেদের বিবেকের সাথে প্রতারনা করছে এই শ্রেনী। আর দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত আছে তারা। সরকারের পতনের লক্ষ্যে মিথ্যাচার করছে এই শ্রেনী।
সেদিন দেখলাম লোড সেডিং দেওয়াতে এক ভদ্রলোক বেজায় খুশী। খুশীতে আরও কিছু সরকার বিরোধী কথা বললেন। তিনি আশা করছেন তার দল শীঘ্রই ক্ষমতায় যেতে পারবে। এই শ্রেনী দ্রব্যমূল্যের দাম যতনা বাড়ে তার থেকে বেশী প্রচার করে। ফলে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়েই বিভ্রান্ত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। সকল মানদন্ডেই শ্রীলংকা থেকে বাংলাদেশের অর্থনীতি অনেক মজবুত। বাংলাদেশের ১ টাকা সমান শ্রীলংকার ৩.৮১ রুপি ও বাংলাদেশের ১ টাকা সমান পাকিস্তানের ২.৪২ রুপি। তা সত্তেও অযথাই বাংলাদেশকে শ্রীলংকার সাথে তুলনা করে নিজের বিবেকের সাথে প্রতারনা করে। সম্প্রতি ঋনখেলাপীতে ঝুঁকিপূর্ণ ২৫ দেশের তালিকায় বাংলাদেশের নাম নাই।
আবার সম্প্রতি প্রকাশিত ঋনখেলাপীতে ঝুঁকিপূর্ণ ৫০টি দেশের তালিকায়ও বাংলাদেশের নাম নাই। এই সব তথ্য বাংলাদেশের অর্থনীতির শক্ত ভিত্তিই প্রমান করে। তথাপিও এই দেশের কুলাঙ্গার শ্রেনী বাংলাদেশ শ্রীলংকা হবে এমন দিবাস্বপ্ন দেখে। কিন্তু বাস্তবতার সাথে তাদের এই স্বপ্নের কোন মিল নাই।