বিরোধী দলের উদেশ্য কি নির্বাচন নাকি নির্বাচন বানচাল?
দেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসছে। এ বছরের ডিসেম্বরে অথবা আগামী বছরের জানুয়ারীতে এই নির্বাচন হতে পারে। তবে এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আরও আগে থেকেই নানা ধরনের তৎপরতা/অপতৎপরতা শুরু হয়ে গেছে। এই তৎপরতা/অপতৎপরতা শুধু দেশের ভিতরেই সীমাবদ্ধ না, পশ্চিমা দেশগুলিও এতে সম্পৃক্ত রয়েছে সক্রিয়ভাবে। ইতিমধ্যই আমরা যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পশ্চিমা দেশগুলির এই অপতৎরতা প্রত্যক্ষ করেছি।
বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব বেগম খালেদা জিয়া ও ছেলে তারেক রহমান সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় তারা এই নির্বাচনে অংশ গ্রহন করতে পারবে না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই তারা হয়ত চাচ্ছেন না নির্বাচন হউক। কেননা নির্বাচন হলে যদি অধিক সংখ্যক আসন পেয়ে বিএনপি প্রধান বিরোধী দল হয়ে যায় তাহলে ক্ষমতা চলে যাবে খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়ার বাইরে অন্য কারো হাতে। তাতে তারেক জিয়ার ভবিষ্যৎ রাজনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সে কারনেই তারা হয়ত চাচ্ছে নির্বাচন বানচাল করে তৃতীয় শক্তির হাতে ক্ষমতা প্রদান করতে।
অন্যদিকে আওয়ামীলীগ সরকার সারা দেশে ব্যপক উন্নয়ন করেছে এবং তা অব্যহত আছে। তাতে দেশের সাধারন ভোটাররা আওয়ামীলীগের দিকেই থাকবে বলে মনে হয়। কারন আওয়ামীলীগই দেশে মন্দের মধ্য অনেক ভাল দল। ভূরাজনৈতিক কারনে কোয়াড ও ব্রিকস নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পশ্চিমারা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ সরকারকে নানাভাবে চাপে ফেলে তাদের স্বার্থ হাসিল করতে চাচ্ছে। আর বিদেশীরাও বিএনপিকে ব্যবহার করছে এদেশে তাদের সাম্রাজ্যবাদ প্রতিষ্ঠার জন্য। বিএনপি এখন পুরোপুরি বিদেশীদের ওপর নির্ভরশীল দল হয়ে গেছে। তবে শেখ হাসিনার সরকারকে যে কোন উপায়েই হটানো অত্যান্ত কঠিন। দলটির শিকড় অনেক গভীরে। তাই নির্বাচন বানচাল করা বিএনপির পক্ষে সম্ভব হবে না। শেষ পর্যন্ত দেশে দ্বাদশ নির্বাচন যথা সময়ে অনুষ্ঠিত হবে। এবং এই নির্বাচনে বিএনপিও অংশ গ্রহন করবে। কেননা তা না করলে বিএনপির অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে।