ক্যাপ্টেন হিসাবে সাকিব কি সফলতা পাবেন?
বাংলাদেশ ক্রিকেটের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র সাকিব আল হাসান। ক্রিকেট বিশ্বের সকলেই তাকে অলরাউন্ডার সাকিব হিসাবেই চিনে। ক্রিকেটের সকল ফরম্যাটেই তিনি অলরাউন্ডার। দেশের ক্রিকেট প্রেমীরা তাকে প্রচন্ডভাবে ভালোবাসেন। অধির আগ্রহ নিয়ে তার খেলা দেখেন। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি তার অলরাউন্ড নৈপুর্ন ধরে রেখেছেন। চলমান এশিয়াকাপে তামিম ইকবাল আনফিট হওয়ায় ক্যাপ্টেনের দায়িত্ব পান সাকিব আল হাসান। টেস্ট ও টি-২০ ফরম্যাটেও সাকিব আল হাসান বাংলাদেশ দলের ক্যাপ্টেনের দায়িত্বে আছেন।
এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচেই টাইগাররা সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে শ্রীলংকার কাছে ৫ উইকেটে হেরেছে।টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করে ৪২ ওভারে মাত্র ১৬৪ রানেই ঘুটিয়ে যায় সাকিবের দল। ১১ বল খেলে সাকিব করেন মাত্র ৫ রান। জবাবে শ্রীলংকা সহজেই জিতে যায় ৫ উইকেটে। এশিয়া কাপের বাকি ম্যাচগুলিতে কেমন করবে বাংলাদেশ তার একটা ধারনা পাওয়া গেল প্রথম ম্যাচ থেকে। সাকিবের বেলা প্রায় শেষ। আর হয়ত বেশীদিন খেলবেন না। তিনি আগে থেকেই ব্যবসা বানিজ্য ও এড নিয়ে পুরোদমে ব্যস্ত। এই তো ৫/৬ দিন আগেও বনানী চেয়ারম্যান বাড়ি মাঠে ৪/৫ ঘন্টা ধরে গ্রামীন ফোনের একটি ভিডিও চিত্রে অভিনয় করলেন। এটার জন্য প্রাথমিক আলোচনা, যুক্তিবদ্ধ হওয়া, অভিনয়ের জন্য প্রস্তুতি ও অভিনয় করা এই সবয়েই কেটেছে তার সময়। দলের সাথে প্রস্তুতি, অনুশীলন করার সময় তার খুবই কম। সাকিব বাদে বাংলাদেশ দল শ্রীলংকায় পৌছে আগেই। আর সাকিব আল হাসান যান পরের দিন। সাকিব শুধু নিজের জন্য খেলেন, দলের জন্য খেলেন না এমন কথা ক্রিকেটের সুসিল সমাজের অনেকেই বলে থাকেন। দলের উন্নতিতে তার অবদান খুব সামান্যই।
আমেরিকায় রয়েছে সাকিব আল হাসানের পরিবার। তার ৩টি সন্তান রয়েছে। তাই ম্যাচের ফাকে ফাকে বছরে অনেকবার তিনি আমেরিকা গমন করেন। অনেক সময় দলের সকলে দেশের বাইরে একই বিমানে একই সময়ে একই সাথে সিরিজ খেলতে যান। সেক্ষেত্রে সাকিব যান অন্য বিমানে, তিনি যোগ দেন আমেরিকা থেকে এসে। ফলে দলকে সুসংগঠিত করার জন্য তার হাতে পর্যাপ্ত সময় থাকে না। আর তিনিও মনে হয় দল নিয়ে এতটা ভাবেন না বা ভাবার সময় নাই। সাকিব ক্রিকেট বিশ্বে খুবই জনপ্রিয় একজন তারকা খেলোয়ার হিসাবে সুপ্রতিষ্ঠিত। কিন্তু বাংলাদেশ দলে তার অবদান অতি সামান্যই। ব্যক্তি সাকিব ভাল খেলেন, কিন্তু ক্যাপ্টেন সাকিবের ফারফরমেন্স হতাশাজনক।