মিয়ানমারে মাকে ধর্ষণে বাধা দেয়ায় পাঁচ বছরের মেয়েকে হত্যা

অনলাইন ডেস্কঃবিডি খবর ৩৬৫ ডটকম

রাখাইন রাজ্যে জাতিসংঘ রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর অত্যাচার-নিপীড়ন এবং সহিংসতার ভয়ংকর সব সাক্ষ্য প্রকাশ করেছে।

Ruhingya2

মিয়ানমারের রাখাইন থেকে পালিয়ে আসা এক মহিলা জাতিসংঘের তদন্ত কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন, তাঁকে যখন ধর্ষণের চেষ্টা করা হচ্ছিল, তখন তাঁর পাঁচ বছর বয়সী মেয়ে এসে রক্ষা করার চেষ্টা করছিল তখন হামলাকারীদের একজন তার মেয়েকে ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে।

Ruhingya3

জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের কর্মকর্তারা এধরণের আরও ভয়ংকর সব ঘটনার সাক্ষ্য প্রমাণ জোগাড় করেছেন। তারা কক্সবাজারে পালিয়ে আসা দুইশর বেশি রোহিঙ্গা মুসলিমের সঙ্গে কথা বলেছেন বলেও জানান। শুক্রবার প্রকাশ করা এক রিপোর্টে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কমিশন বলছে, রাখাইনে যা ঘটছে তা সম্ভবত মানবতা বিরোধী অপরাধ।

Ruhingya4

রিপোর্টে বলা হয়, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে।  সেখানে হত্যা, ধর্ষণ এবং এ ধরণের অনেক সহিংসতা প্রত্যক্ষ করেছে সাক্ষ্যদানকারী রোহিঙ্গারা। সাক্ষ্যদানকারী অর্ধেকের বেশি মহিলা বলেছেন তারা ধর্ষণ বা যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছেন। সেখানে অনেক রোহিঙ্গা পরিবারের সবাইকে তাদের বাড়িতে পুড়িয়ে মারা হয়েছে বলে সাক্ষ্যদানকারী রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন। রোহিঙ্গাদের স্কুল, মসজিদ, ক্ষেতের ফসল এবং গবাদিপশু সবই ধ্বংস করা হয়েছে।

Rohingya6

মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী রাখাইন রাজ্যে এক বিরাট দমন অভিযান শুরু করার পর আর এসব সহিংসতা ঘটেছে। এক হামলায় তিনটি সীমান্ত ফাঁড়িতে নয়জন পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার অজুহাতে এই অভিযান শুরু হয়। আর প্রথম থেকেই মিয়ানমার কোন ধরণের মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা অস্বীকার করছে।

এদিকে জাতিসংঘের তদন্তকারীরা বলছেন, এখন পর্যন্ত যে সাক্ষ্য প্রমাণ তারা পেয়েছেন, তাতে তাদের মনে হচ্ছে মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর যা ঘটছে তা সম্ভবত মানবতা বিরোধী অপরাধের সামিল আর এর দায়িত্ব মিয়ানমারকে নিতে হবে। খবরঃবিবিসি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *