যেসব বিমানবন্দর এবং এয়ারলাইন্স মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায়
অনলাইন ডেস্কঃবিডি খবর ৩৬৫ ডটকম
আমেরিকার হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, চরমপন্থী সন্ত্রাসীরা যাত্রীবাহী বিমান উড়িয়ে দেয়ার জন্য নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের চেষ্টা করছে। ল্যাপটপ, ট্যাব, ক্যামেরা, ডিভিডি প্লেয়ার বা ইলেকট্রনিক গেমস ইত্যাদি ডিভাইসের মধ্যে বোমা লুকিয়ে রাখা সম্ভব। সে কারণেই দশটি মুসলিম দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রগামী যাত্রীরা বিমানের কেবিনে তাদের সাথে এখন আর ল্যাপটপ, ট্যাব, ক্যামেরা বা এরকম বড় ইলেকট্রনিক যন্ত্র বহন করতে পারবেন না। এ ধরণের ইলেকট্রনিক যন্ত্র সাথে বহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে মোবাইল ফোনকে এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখা হয়েছে।
এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছে মধ্যপ্রাচ্যের নয়টি দেশের দশটি বিমানবন্দর থেকে যুক্তরাষ্ট্রগামী ফ্লাইটে। কেবিন লাগেজে বা যাত্রীর সঙ্গে এ ধরণের ইলেকট্রনিক যন্ত্র রাখা না গেলেও ‘চেক ইন’ করা বড় লাগেজে তা নেয়া যাবে বলে জানিয়েছে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট। এসব এয়ারলাইন্সকে এধরণের যন্ত্র ফ্লাইটে নিষিদ্ধ করার জন্য ৯৬ ঘন্টা সময় দেয়া হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা কতদিনের জন্য জারি করা হয়েছে তা উল্লেখ করা হয়নি।
যে নয়টি এয়ারলাইন্স এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছে সেগুলো হল-রয়্যাল জর্ডানিয়ান, ইজিপ্ট এয়ার, টার্কিশ এয়ারলাইন্স, সৌদি এরাবিয়ান এয়ারলাইন্স, কুয়েত এয়ারওয়েজ, রয়্যাল এয়ার মারোক, কাতার এয়ারওয়েজ, এমিরেটস ও ইতিহাদ এয়ারওয়েজ।
আর যেসব বিমানবন্দর এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছে সেগুলো হল -কুইন আলিয়া ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট, আম্মান, জর্ডান; কায়রো ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট, মিশর; আতাতুর্ক এয়ারপোর্ট, ইস্তানবুল, তুরস্ক; কুয়েত ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট, কুয়েত; মোহাম্মদ ফাইভ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট, ক্যাসাব্লাংকা, মরক্কো; হামাদ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট, দোহা, কাতার; দুবাই ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট, সংযুক্ত আরব আমিরাত; ও আবুধাবী ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট, সংযুক্ত আরব আমিরাত।